Home দর্শনীয় স্থান খাগড়াছড়ির সৌন্দর্যে মুগ্ধ পর্যটকরা
এপ্রিল ২১, ২০২৪

খাগড়াছড়ির সৌন্দর্যে মুগ্ধ পর্যটকরা

তাজু কান্তি দে, খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধিঃ

পাহাড়, উপত্যকা, ঝিরি অসংখ্যা ছোট বড় ঝরণা, আলুটিলা রহস্যময় গুহাসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে বৈচিত্র্যময় খাগড়াছড়ি।

সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সড়ক যোগাযোগ বিস্তৃত হওয়ায় সাম্প্রতিককালে খাগড়াছড়ির পর্যটন খাত বিকশিত হয়েছে। পাহাড়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা খাগড়াছড়িতে আসছে। এতে স্থানীয় অর্থনীতি বিকশিত হচ্ছে। তবে টেকসই পর্যটন গড়ে তুলতে আরো নতুন ট্যুরিস্ট স্পটগুলোর উন্নয়নের দাবি সংশ্লিষ্টদের।

পাহাড়, উপত্যকা, ঝিরি অসংখ্যা ছোট বড় ঝরণা, আলুটিলা রহস্যময় গুহাসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে বৈচিত্র্যময় খাগড়াছড়ি। তবে এক দশক আগেও খাগড়াছড়িতে পর্যটকদের আনাগোনা ছিল হাতে গোনা। তবে, বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্রের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সড়ক যোগাযোগ উন্নত হওয়ায় খাগড়াছড়ি এখন পর্যটকদের অন্যতম ভ্রমণ গন্তব্য।

আলুটিলা, রিছাং ঝরণা, তৈদুছড়া, ঝুলন্ত ব্রীজ, শিলাছড়ি, মায়াবিনী লেকসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটছে। এছাড়া খাগড়াছড়ি হয়ে পর্যটকরা দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাজেক যাচ্ছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোর উন্নয়ন হওয়ায় ও পাহাড়ে সড়ক যোগাযোগ বিস্তৃত হওয়ায় খুশি ভ্রমণ পিসাসুরা।

খাগড়াছড়িতে বেড়াতে আসা পর্যটক আনভীর মাহমুদ জানান, ‘এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত সুন্দর। খুব সহজেই চলাফেরা করা যায়। রাস্তা সুন্দর। পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ করেছে।’

পর্যটন

পর্যটন নির্ভর অর্থনীতি বিকাশের জেলার নতুন ট্যুরিস্ট স্পটগুলো আরো উন্নয়ন চাই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। একই আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে বেসরকারি বিনিয়োগ সুযোগ সৃষ্টির দাবি খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকএস অন্তত বিকাশ ত্রিপুরা। তিনি বলেন, ‘খাগড়াছড়িতে পর্যটন সমাগম বেড়েছে। তবে স্যাজেক ভ্যালি, শিলাছড়ি, তৈদুছড়া, আলুটিলাসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়ন হলে পর্যটক আর্কষণ আরো বাড়বে।’

পর্যটন এলাকার নিরাপত্তা উন্নয়নের কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে কিছু পর্যটন কেন্দ্রে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় নিজেদের নিরাপত্তা বলয়ে আনতে পারছে না ট্যুরিস্ট পুলিশ। ট্যুরিস্ট পুলিশ খাগড়াছড়ি এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.হাসান ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘আলুটিলা, রিছাং ঝরণা, জেলা পরিষদ এলাকায় আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে র্দুগম এলাকায় যেসব পর্যটন এলাকা রয়েছে সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় টহল দিতে পারি না। এসব এলাকার উন্নয়ন হলে ট্যুরিস্ট পুলিশ সেবা দিতে পারবে।’

পর্যটনের উন্নয়নে আরো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন চলছে বলে জানিয়েছে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘এখানকার প্রধান পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলা,জেলা পরিষদের উন্নয়নে যেসব কাজ চলমান রয়েছে তা শেষ হলে এখানকার পর্যটন অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধি হবে।’

খাগড়াছড়ির পর্যটন অর্থনীতি বছরে অন্তত অর্ধ শত কোটি টাকা লেনদেন হয়।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *