মানিকগঞ্জে হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু
দেশের চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে মানিকগঞ্জের হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগী। এদিকে হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে একজনের।
মানিকগঞ্জের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রিতে রয়েছে। জেলার ৭টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়া ও জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে বেশির ভাগ রোগীই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এপ্রিল মাসজুড়েই থাকবে তীব্র দাবদাহ।
শনিবার দুপুরে তীব্র দাবদাহের কারণে হিট স্ট্রোকে আমলগীর হোসেন আলম (২৮) নামে এক ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ বেপারীপাড়া গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলার হরগজ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. শাজাহান আলী বলেন, হরগজ বাজার থেকে ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। হরগজ বেপারীপাড়া নামক স্থান পৌঁছলে ভ্যান থেকে টলে পড়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে- হিট স্ট্রোক করে ভ্যানচালক আমলগীর হোসেন আলমের মৃত্যু হয়েছে।
মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ছয় বছর বয়সি শিশুকন্যা রাজিয়া আক্তারকে নিয়ে এসেছেন বাবা মো. আমির হোসেন বলেন, মেয়ের হঠাৎ করে পাতলা পায়খানা শুরু হয় ও সঙ্গে জ্বরও আসে। স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ওষুধ খাইয়েছি; কিন্তু কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে এখানে নিয়ে এসেছি। এখন তার মেয়ে আগের চেয়ে ভালো আছে বলে জানান।
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বাহাউদ্দীন বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহে হাসপাতালে রোগীর তেমন চাপ পড়েনি। জ্বরের রোগীর চাইতে ডায়রিয়া রোগী কিছু বেশি। আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে সঙ্গে হাসপাতালে প্রচুর পরিমাণ খাবার স্যালাইন মজুত রাখা হয়েছে।
তীব্র তাপপ্রবাহে বাহিরের খোলামেলা খাবার বর্জন করার পরামর্শ দিয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. মোয়াজ্জেম আলী চৌধুরী বলেন, অন্যবারের তুলনায় এবার মানিকগঞ্জে ডায়রিয়া আক্রান্ত অনেক কম। তুলনামূলক বয়স্করাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুদের ক্ষেত্রেও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাবেন। আর যদি পাতলা পায়খানা হয় তাহলে প্রথমেই বাসায় ওরস্যালাইন খাবেন। আর বেশি সমস্যা লাগলে অবশ্যই নিকটবর্তী হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। ফ্রিজে রাখা খাবার খাবেন না। ফলমূল খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।