রমজান আসলে বিক্রেতারা যেখানে পণ্যের দাম বাড়াতে প্রতিযোগিতা শুরু করে।
ঠিক সেখানে দাঁড়িয়ে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার আরোবী মসলা ঘর বিক্রি করতেছেন লাভ ছাড়া সেমাই ও চিনি।
লাভ ছাড়া সেমাই ও চিনি বিক্রির
উদ্যোক্তা আজিম আহমেদ সঞ্চয়,
আজিম হাকিমপুরের চুড়িপট্টি এলাকার বাসিন্দা।
তিনি ভয়েস অব বাংলাদেশ কে বলেন।
আমি এই উদ্যোগ শুরু করেছি ১০রমজান থেকে উদ্যোগ চলবে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত।
আমি এ বছরের মতো প্রত্যেক বছর লাভ ছাড়া সেমাই চিনি বিক্রি করে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই।
লাভ ছাড়া কি ব্যবসা হয়?
প্রশ্ন করাতে আজিম আহমেদ বলেন,
আমি লাচ্ছা সেমাই কিনতেছি ৯৮টাকা কেজিতে বিক্রি করছি ১০০ টাকায়।
অনেক সময় ১০/১২ গ্ৰাম সেমাই ও চিনি ওজনে বেশী যাওয়ায় প্রতিদিন আমার পকেট থেকে ৫০/৬০ টাকা খরচ হচ্ছে।
চিনি বিক্রির ক্ষেত্রে আমরা একটু বিপাকে পড়েছি চিনি কখনো বেশী দামে কিনতে হচ্ছে কখনো কম দামে তাই মূল্য বাড়ছে কখনো কমছে এ নিয়ে ক্রেতার কাছে অস্বস্তি বোধ করছি।
আরোবী মসলা ঘরে বিক্রি হচ্ছে,
সাদা সেমাই ৭০টাকা কেজি,
লাচ্ছা সেমাই ১০০টাকা কেজি,
লাচ্ছা ভুনা সেমাই ১২০টাকা কেজি,
চিনি বর্তমানে ১২৫টাকা কেজি।
আরোবী মসলা ঘরের প্রোপাইটর
মোকাররম হোসেন বলেন,
আজিম ভাইয়ের উদ্যোগে বিক্রি হচ্ছে লাভ ছাড়া সেমাই ও চিনি।
ক্রেতারা বলছেন,
দাম কমের পাশাপাশি পণ্যের মান যথেষ্ট ভালো তাই তারা এবারের ঈদুল ফিতরের সেমাই এবং চিনি আজিম ভাইয়ের কাছ থেকে কিনতেছেন।
ভয়েস অব বাংলাদেশ প্রতিনিধি স্থানীয় দোকানদার কে লাভ ছাড়া সেমাই চিনি বিক্রির দোকানের কথা জিজ্ঞেস করাতে দোকানদার কিছুটা রাগান্বিত হয়ে বলে,
এ যুগে লাভ ছাড়া কেউ কি ব্যবসা করে
আমাদের সবার থেকে ওই মোকাররম এর লাভ বেশী হয়।
এই নিয়ে মোকাররম হোসেন কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মানুষের কথায় আমরা কান না দিয়ে এবছরের মতো প্রত্যেক বছর এই উদ্যোগ বহাল রাখবো।