শেখ হাসিনা দুর্বল হলে দেশবিরোধী শক্তির উত্থান হবে- শেখ পরশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্বল হলে দেশবিরোধী শক্তির উত্থান হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। আজ শনিবার সকালে মতিঝিলের টি অ্যান্ড টি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সভাপতির বক্তব্যে পরশ বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি, পঁচাত্তরের ঘাতক এবং তাদের দোসরদের সামনে একমাত্র বাধা শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে ছলে-বলে-কৌশলে দুর্বল করতে পারলেই পরাজিত শক্তি উত্থান হতে পারে। সেকারণে এই সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের এক পরিকল্পিত নীলনকশার বাস্তবায়ন চলছে। এই নীলনকশার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার।
তিনি আরও বলেন, সারাক্ষণ শেখ হাসিনার গণমানুষের সরকারকে ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী এবং আধিপত্তবাদি দানব সরকার বলে লেবেল করে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল সাহেবরা। ফ্যাসিবাদের প্রকৃত সংজ্ঞাই মানুষ এখন ভুলে গেছে এদের মিথ্যাচারের ফলে। ’৭১-এর ঘাতক এবং ’৭৫-এর ঘাতকদের নিয়ে যেই দলের সৃষ্টি, যেই দল যখনই ক্ষমতা দখল করেছে সর্বদা এদের মানুষকে শোষণ, নিপীড়ন এবং নির্যাতন করেছে, তারা এখন শেখ হাসিনার জনগণের সরকারকে সারাক্ষণ গালিগালাজ করে যাচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমে এত গালি-গালাজ করেও মিথ্যাচার করছে, ‘সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নাই”!
যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, গত ১৫ বছরে এত অর্জন সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আজকে যে ষড়যন্ত্র চলছে সেটা এদেশের উন্নয়ন ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, এদেশের মেহনতি-কর্মজীবী মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, আপনাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবিলায় আমাদের অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্মানিত অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
এ সময় আরও ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, সাইফুর রহমান সোহাগ, আবু মনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, ক্রীড়া সম্পাদক নিজাম উদ্দিন চৌধুরী পারভেজ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হারিছ মিয়া শেখ সাগর, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, উপ-দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শামীমসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।