Home জাতীয় এমভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারে অভিযানের প্রস্তাব আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর, ‘না’ বলেছে মালিক পক্ষ
Mac ১৯, ২০২৪

এমভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারে অভিযানের প্রস্তাব আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর, ‘না’ বলেছে মালিক পক্ষ

এমভি আব্দুল্লাহর জিম্মি নাবিকদের ‘জোরপূর্বক’ উদ্ধারে প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী। এছাড়াও অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালিয়ার পুলিশ ও আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী। জোরপূর্বক হস্তক্ষেপের কঠোর বিরোধিতা করেছে এমভি আব্দুল্লাহর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয় ‘জোরপূর্বক’ উদ্ধার অভিযানের বিরোধিতা করেছে এমভি আব্দুল্লাহর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা। তিনি পরিস্থিতিতে জোরপূর্বক হস্তক্ষেপের কঠোর বিরোধিতা করেছেন। তারা এ সংকটের সমাধান চান সমঝোতার মাধ্যমে।

তিনি বলেন, নাবিকদের জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে তাই সংশ্লিষ্ট নৌবাহিনীগুলোকে জোরপূর্বক কোনো হস্তক্ষেপ না করার জন্য জোরালো অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ সরকার।

এদিকে নাবিকদের জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করতে সেই প্রস্তাবে সরকার ও মালিকপক্ষ রাজি হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব খুরশেদ আলম।

একটি বেসরকারি টেলিভিশন টকশোতে অবসরপ্রাপ্ত এই রিয়ার অ্যাডমিরাল বলেন, এখানে হতাহতের আশঙ্কা থাকার কারণে আমরা এবং বিশেষ করে মালিকপক্ষ বলছে যে, ‘না, শান্তিপূর্ণভাবে অতীতে যেভাবে এটা সমাধান হয়েছে, সেভাবে আমরা সমাধান করব। আমরা সেই পথেই আমরা এগোচ্ছি।’

এমভি আব্দুল্লাহর মালিকপক্ষ এস আর শিপিংয়ের মূল কোম্পানি কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল পারসন মিজানুল ইসলামও একই কথা বলেছেন।

শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনী আরেকটি পণ্যবাহী জাহাজ উদ্ধার করেছে। মাল্টিজ-পতাকাবাহী এমভি রুয়েন গত ডিসেম্বরে হাইজ্যাক হয়েছিল। ভারতীয় সেনারা এর ১৭ ক্রুকে মুক্ত করে এবং ৩৫ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করে। পান্টল্যান্ড সোমালিয়ার একটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, যেখানে অনেকগুলো জলদস্যু দলের ঘাঁটি রয়েছে। ওই এলাকার পুলিশ বাহিনী বলেছে, এমভি আব্দুল্লাহকে দখল করে থাকা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর অভিযানের একটি পরিকল্পনা তারা জানতে পেরেছে।

এর আগে মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরের সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৩ নাবিকের সবাইকে জিম্মি করে।

জাহাজটি জলদস্যুদের হাতে যাওয়ার পর সেটির নজরদারিতে ইউরোপীয় নৌবাহিনীর অপারেশন আটালান্টা এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর তৎপরতার খবর এসেছে।

জিম্মি নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ হলেও জাহাজ ছাড়িয়ে আনার উপায় খুঁজে পাচ্ছে না মালিকপক্ষ। দস্যুদের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টাও করছে তারা।

১২ মার্চ ভারত মহাসাগরের সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। তবে গত পাঁচ দিনেও জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো সূত্রের দেখা পায়নি কবির গ্রুপ।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *