যে পাঁচ সিনেমায় উঠে এসেছে জলদস্যুদের সত্যিকারের চিত্র
সোমালিয়ার জলদস্যুরা খুবই ভয়ংকর; তাঁদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে। ভারত মহাসাগরে জাহাজ জিম্মির জন্য কুখ্যাতি রয়েছে তাঁদের। নাবিকদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করেন; মুক্তিপণ না মিললে নাবিকদের খুনও করেন।
সোমালিয়ার জলদস্যুদের নিয়ে বানানো এই পাঁচ সিনেমা বেশ আলোচিত। বেশির ভাগ সিনেমা সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে।
‘আ হাইজ্যাকিং’
ডেনমার্কের একটি কার্গো জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ড্যানিশ সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। এতে কার্গো জাহাজের মালিক ও জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনাকে নাটকীয়ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ড্যানিশ নির্মাতা টোবায়াস লিন্ডহোম পরিচালিত সিনেমাটির ৬৯তম ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয়েছে।
‘স্টোলেন সিস’
২০০৮ সালের ৭ নভেম্বর ড্যানিশ জাহাজ এমভি সিইসি ফিউচার ছিনতাইয়ে ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোচিত হয়েছিল। এই সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রটি ২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছে। জিম্মি অবস্থায় জাহাজের ভেতরে থাকা নাবিকদের দুর্দশাকে ক্যামেরায় তুলে আনা হয়েছে। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা থিমায়া পেইন।
‘ফিশিং উইদাউট নেটস’
এই সিনেমার গল্পটা একটু আলাদা। জলদস্যুদের জীবনকে পর্দায় তুলে এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা কাটলার হডিয়র্ন। সোমালিয়ার জেলেদের কীভাবে জলদস্যুতায় বাধ্য করা হয়, সেই গল্প তুলে আনা হয়েছে। ছবিটি ২০১৪ সালে মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটি ২০১২ সালে সানডেন্স চলচ্চিত্র উৎসবে ‘গ্র্যান্ড জুরি অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে।
‘ক্যাপ্টেন ফিলিপস’
২০০৯ সালের ৭ এপ্রিল ড্যানিশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কার্গো জাহাজ মারস্ক অ্যালবাবা ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটির ক্যাপ্টন ছিলেন রিচার্ড ফিলিপস। জিম্মি অবস্থায় দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন ফিলিপস; সেই ঘটনা অবলম্বনেই নির্মিত সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে ২০১৩ সালের অক্টোবরে। সিনেমায় ফিলিপস চরিত্রে অভিনয় করেছেন হলিউড তারকা টম হ্যাঙ্কস।
পল গ্রিনগ্রাস পরিচালিত সিনেমাটি চিত্রনাট্য লিখেছেন রিচার্ড ফিলিপস ও বিলি রে। জিম্মিদশা থেকে ফিরে আ ক্যাপ্টেনস ডিউটি মে একটি বই লেখেন ফিলিপস। সেই বই থেকেই সিনেমার চিত্রনাট্য করা হয়েছে।
‘দ্য প্রজেক্ট’
প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক অ্যাডাম চারলস্কি। সোমালিয়ার জলদস্যুতা শিপিং বিশ্বকে কতটা হুমকিতে ফেলছে; এটিকে মোকাবিলা করতে কী করা যায়—এসব নিয়ে নির্মিত হয়েছে। ২০১৩ সালে ২১ এপ্রিল মুক্তিপ্রাপ্ত এই প্রামাণ্যচিত্র বিশ্বের বিভিন্ন উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে।