পাকিস্তানের রাজনীতিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান আফ্রিদির
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের পর একতার অভাবে সরকার গঠন করতে পারছে না কোনো দল। সরকার গঠন নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
এদিকে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে গতকাল পদত্যাগ করেছেন রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলি চাট্টা। দেশের বিশৃঙ্খল এই পরিস্থিতিতে বিরক্ত সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি। সমস্যা সমাধানে তিনি সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের চলমান পরিস্থিতি দেখে সাধারণ মানুষ খুব বিরক্ত বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, প্রতিদিন প্রায় একই গল্প শুনতে শুনতে মানুষ বিরক্ত। অথচ দেশের প্রধান সমস্যা মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব।
এরপরই তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে নিজের দাবি জানিয়ে লেখেন, আইনপ্রণেতাদের কাছে আবেদন– আপনারা সবাই একসঙ্গে বসে দেশকে চলমান অস্বস্তি থেকে রক্ষা করুন। এটি ইতোমধ্যে বর্তমানে বড় দৃশ্যে পরিণত হয়েছে। এর বেশি আঘাত আর দেশ সইতে পারবে না। আল্লাহর ওয়াস্তে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ও দেশের স্বার্থে আপনারা ঐক্যবদ্ধ হন।
৪৬ বছর বয়সি সাবেক এই ক্রিকেট তারকা এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইট করেছিলেন। যদিও সেখানে তিনি রাজনীতি কিংবা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য করেননি। অবশ্য পাকিস্তানের ক্রিকেট তারকাদের রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করার ঘটনা নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন সাবেক ক্রিকেটারদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়।
শহীদ আফ্রিদিও ২০২২ সালের মার্চে এবারের মতো একটি বার্তা দিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তানের স্বাধীনতা অর্জনের ৭৪ বছর হয়ে গেছে। আল্লাহর ওয়াস্তে অন্তত একটি নির্বাচিত সরকারকে তার নির্দিষ্ট মেয়াদ সম্পন্ন করতে দিন।
ওই সময় পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসেন শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) এই নেতাকে অভিনন্দন জানিয়ে তখন সমালোচিতও হন আফ্রিদি।