ধানসিঁড়ি নদীর তীরে রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দের ১২৫ তম জন্মদিন পালন।
তাইফুর রহমান, ঝালকাঠি(নলছিটি)প্রতিনিধি:
কবিতাচক্র ঝালকাঠি, ছালমা যুব সংস্থা ও শিল্পীগোষ্ঠী রাজাপুর ও ভরসা নৃত্য একাডেমী রাজাপুর এর যৌথ উদ্যোগে আজ শনিবর দিনব্যাপী কবি জীবনানন্দ দাশের পৈতৃক ভিটা বামনকাঠি রাজাপুরের ধানসিঁড়ি নদীর তীরে ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উৎসব উদযাপিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব ফারহানা ইয়াসমিন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ মাসুদ রানা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি লেখক ও সাহিত্যিক জনাব মু. আল আমিন বাকলাই. অফিসার ইনচার্জ রাজাপুর থানা, জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য মুন্নি মৃধা, সাংবাদিক আলমগীর শরীফ। সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দিনব্যাপী ধানসিড়ি নদীর তীরে প্রাণবন্ত আলোচনা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।জনাব আল আমীন বাকলাই ও জনাব আলমগীর শরীফের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন ইসরাত জাহান রিদি, মিঠু হাওলাদার, বাউল ছালমা, মনির হোসেন মিন্টু, সোহরাব বাউল প্রমুখ।জীবনানন্দ দাশের কবিতা আবৃত্তি করেন কবি জিল্লুর রহমান, কবি শারমিন আক্তার, সোহাগ প্রমুখ। আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে -এই উদ্বোধনী সংগীত সমবেত কন্ঠে আবৃতির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয় ।কবির জীবন ও কবিতা নিয়ে আলোচনা করেন অফিসার ইনচার্জ রাজাপুর, ধনসিড়ি নদী ও কবির জন্মস্থান নিয়ে আলোচনা করেন এএসপি সার্কেল জনাব মোঃ মাসুদ রানা। সভাপতির বক্তব্যে জনাব ফারজানা ইয়াসমিন বলেন স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় অনেকদিন পর একটি সুন্দর অনুষ্ঠান উপভোগ করলাম। ঝালকাঠি বরিশাল রাজাপুরের প্রায় পাঁচ শতাধিক দর্শকশ্রোতা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠান থেকে কবি জীবনানন্দ দাশের স্মৃতি বিজরিত ধানসিঁড়ি নদী সংরক্ষণ খনন ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানানো হয়। অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করেন সাবিনা ইয়াসমিন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যন্ত্রসংগীত সহায়তা করে সোহরাব বাউল, আব্দুর রাজ্জা, মিঠু প্রমূখ।