গ্রেপ্তার করা হচ্ছে ইমরান-সমর্থকদের
ঘণ্টায় ঘণ্টায় জটিল হয়ে উঠছে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দেশটির রাজধানীসহ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ হয়। এসব বিক্ষোভ থেকে ইমরান খানের সমর্থকদের গ্রেপ্তার শুরু করেছে পুলিশ।
নির্বাচনে ইমরান খান সমর্থিত প্রার্থীরা এগিয়ে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় নাটকীয়তা। ফল ঘোষণায় অস্বাভাবিক বিলম্ব, পুলিশের নির্বিচার গুলি বর্ষণ, গণগ্রেপ্তারের ফলে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটছে। এরই মধ্যে বিক্ষোভের ডাক দেয় ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই। সেই বিক্ষোভে যোগ দেয় আরও কয়েকটি দল।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ থামাতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সঙ্গে রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে। সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আন্দোলকারীদের ঠেকাতে জলকামানসহ কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
গত বৃতস্পতিবার পাকিস্তানে নির্বাচন হলেও ফলাফল ঘোষণা নিয়ে গড়িমসি করায় পিটিআইসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল। পরে তাদের আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে দেশটির রাজধানী। এতেই নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তান প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন।
বিলাওয়াল ভুট্টোকে তলব
ভোটগ্রহণের তিন দিন পর ২৬৫ আসনের মধ্যে অবশেষে ২৬৪ আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। একটি আসনে ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ৯৭ আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরই পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ বা পিএমএল-এন ৭৬ আসনে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য ছোট দল পেয়েছে ৩৭টি আসন।