Home সারাদেশ আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১১
ফেব্রুruari ১১, ২০২৪

আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১১

বগুড়ার শিবগঞ্জে পৌরসভার উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই মেয়রপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল এবং এক প্রার্থীর ব্যক্তিগত কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় সংঘর্ষে দু’পক্ষের ১১ কর্মী আহত হয়েছেন।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

আহতদের একজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলা সদরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান মানিক দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এতে পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এদিকে দলীয়ভাবে পরবর্তীতে আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে মানিক দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।

অন্যদিকে মেয়র নির্বাচনের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিজ্জাকুল রহমান রাজু তৎপরতা শুরু করেন। এ ঘটনায় সংসদ নির্বাচনের পর সদ্য পদত্যাগকারী মেয়র মানিক পুনরায় ওই পদে নির্বাচনের জন্য মাঠে নামেন। এ নিয়ে দুই নেতার কর্মী-সমর্থকরা বিভক্ত হয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর মেয়রপ্রার্থী রাজুর সমর্থকরা উপজেলা সদরের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মোড়ে সমবেত হয়ে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি সাথী সিনেমা হল থেকে ফেরার পথে সিএনজি স্ট্যান্ডে পৌঁছলে অপর প্রার্থী মানিকের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় মানিকের পক্ষের সমর্থক দোয়েল, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবু রায়হান, ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হাসান, হোসেন আলী, হাসান আলী, শ্রমিক লীগ নেতা মাসুদ মিয়া, মজনু মিয়া এবং রাজুর সমর্থক রাসেল, ওহি ও সাকিল আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত দোয়েলকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা বলেন, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য মানিককে সমর্থন জানানো হয়েছে। এরপর থেকেই মানিকের পক্ষে বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচার চালাতে গেলে রাজুর লোকজন বাধা দিয়ে আসছে। শনিবার সন্ধ্যার পরও তারা মিছিল বের করে পৌরসভার সামনে গিয়ে মানিকের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলার চেষ্টা চালায় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে স্থানীয়রা বাধা দিলে তারা সেখান থেকে ফেরার পথে মানিকের সমর্থক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দোয়েলের ওপর হামলা চালায়। পরে গুরুতর আহত দোয়েলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া তাদের মারধরে আরও ৭ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

মেয়রপ্রার্থী রাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার কর্মীরা শনিবার সন্ধ্যায় মিছিল নিয়ে পৌরসভার সামনে পৌঁছার পরপরই পেছনে থেকে মানিকের সমর্থকরা হামলা করে। এতে রাসেল, ওহি ও সাকিল আহত হন। সেখান থেকে মিছিলটি ফিরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে গেলে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। সে সময় থানা পুলিশ গিয়ে তাঁর (রাজুর) কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি পাঠাতে বলেন। তিনি পুলিশের কথামতো তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার পরপরই মানিকের সমর্থকরা তার ব্যক্তিগত কার্যালয় এবং পাশেই থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হকের নিজস্ব কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় সড়কের পাশে থাকা তার সমর্থকদের তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের তাড়িয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত ওই ঘটনায় থানায় কোনো পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেননি। ঘটনার পর থেকেই উপজেলা সদরে পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *