২২ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া রমজানকে আজও খুজছে তার বৃদ্ধ বাবা মা।
তাইফুর রহমান, ঝালকাঠি (নলছিটি)।।
নলছিটি উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে শুয়ে আছেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত শাহ আলম হাওলাদার। নিজে হাত পা তেমন নাড়াচাড়া করতে পারেন না,অন্য কাউকে ধরে বসাতে বা শোয়াতে হয়।তার স্ত্রী হেলেনা বেগম সকাল হলে স্বামীকে রেখে বাড়িতে চলে যান এক মাত্র ছাগলটিকে ঘাস খাওয়াতে, আবার ফিরে আসেন সন্ধায়।ততক্ষণ তাকে টয়লেটে নিয়ে যাওয়া বা শোয়ানো উঠানোর কাজ অন্য রোগীদের করে দিতে হয়।তার এই দুর্দশার ঘটনা জানতে গিয়ে বের হয়ে আসে এক মর্মান্তিক ইতিহাস। শাহ আলম হাওলাদারের বড় ছেলে পানিতে ডুবে মারা গিয়েছে পানিতে ডুবে,মেজো ছেলে হারিয়ে গেছে ২০০২ সালে ১৭ বছর বয়সে।সেই সময় ঢাকা থেকে হারিয়ে যায় রমজান।তখন তার পিতা মাতার সাথে ঢাকাতেই থাকতো।সেই সময় সে চিপসের কারখানা,হোটেলে কাজ করতো সে।হঠাৎ একদিন কাজে গিয়ে আর ফেরেনি রমজান।তার পিতা শাহ আলম আলম হাওলাদার এখন পক্ষাঘাতগ্রস্ত,কিডনিতে পাথর, চলাফেরা করতে পারেন না,শারিরীক নানান জটিলতা নিয়ে ভর্তি আছেন নলছিটি হাসপাতালে। রমজানের পৈত্রিক নিবাস ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠী ইউনিয়নের মাধবপাশা গ্রামে।।
এখনো রমজানের পথ চেয়ে আছেন তার মা,কবে ফিরবে তার রমজান।।যদি কোনোভাবে রমজানের নিজের দৃষ্টিতে পৌছে কিংবা তাকে কেউ চিনে থাকেন তাহলে সন্ধান দিতে যোগাযোগ করতে পারেন।
০১৭১২২২৫০৩১
:01703405170(রমজানের মা)