Home সারাদেশ নির্বাচনী শো ডাউন,ও যুবকদের কাছে কিছু খোলা চিটির  প্রশ্ন।
ফেব্রুruari ৭, ২০২৪

নির্বাচনী শো ডাউন,ও যুবকদের কাছে কিছু খোলা চিটির  প্রশ্ন।

তাইফুর রহমান, সমাজকর্মী ও লেখক (ঝালকাঠি)
জনপ্রতিনিধিত্ব করতে চাওয়া নেতাদের বিশাল কর্মী বাহিনী নিয়ে সড়ক প্রদক্ষিন কিংবা হাটে বাজারে পেশি শক্তির প্রদর্শনে প্রচুর লোকসমাগম হয়।প্রথম প্রশ্ন হলো নির্বাচনের পরে এরা আপনার ফোন রিসিভ করবে তো?এত লাখ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে  খরচ করছেন এই টাকা তারা ফেরত নেবেন কিভাবে? মোটসাইকের পেট্রল পরে যাদের জন্য বুক ফাটিয়ে স্লোগান দিয়ে মানুষের বুকে কাপিয়ে দিচ্ছেন এদেরকে কি আপনার কোনো বিপদে পাশে পেয়েছেন? কত গরীব অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না,ঔষধ কিনতে পারছে না।কত ছাত্র বই কিনতে পারছে না টাকার অভাবে,অনেকে ভর্তি হতে পারছে না টাকা নেই বলে,প্রশক্ষনপ্রাপ্ত যুবক পাসপোর্ট করতে পারছে না টাকা নেই বলে।কত বৃদ্ধার ঘরের ছাপড়ার চালে টিন ফুটো হয়ে পানি পরে সব ভিজে যায়,কত বাবা আছে মেয়েটার বিয়ে দেবে টাকা জোগাড় করতে পারছে না।কত কৃষক টাকা নেই বলে সার কিনতে পারছে না।।আর রাস্তাঘাট, এলাকা সংস্কার,নদী ভাঙন তো বাদই দিলাম।।তখন কি এদের খুজে পাওয়া যায়?কেন পাওয়া যায় না? এরা কি শুধু শাসক হতে চায় বলেই হাতে ছড়ি ঘুরায়, এরা রাজা বাদশাই হতে চায়,যার ফলাফল হবে আপনি হবেন কৃতদাস কিংবা প্রজা। এরা সাধারণ মানুষের কেউ নয়।হলে তো ঐসব সময়েও তো দেখা যেতো।আপনারা এত বিপদে পরেন,বাবা,ভাই,বোন নিয়ে,তাদেরকে খুজে পান?

প্রশ্ন শিক্ষিত যুবকের কাছে:প্রিয় যুবক ভাইয়েরা আমার।তোমাদের রক্তে স্বাধীন হওয়া দেশে তোমার এই বয়সে একটা বিনা পয়সায় সরকারি চাকরি থাকার কথা, সেটা কি তোমার আছে?কেন নেই?কেন টাকা ছাড়া হচ্ছে না?যেই নেতা তোমাকে নির্বাচন এলেই মিছিল আর গোডাউনে ডাকে এই নেতা কি তোমাকে পড়ার টেবিলে যেতে বলে?কেন বলে না?এই নেতা কি তোমার পিতা মাতার সুস্থতা অসুস্থতায় খবর নিয়েছিলো?তোমার স্কুল,কলেজের ফর্ম পুরনের টাকা দিয়েছিলো কে এই নেতা নাকি বাবা?অসুস্থ বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে দেখলে সেবার কিছু সেখানে নেই,মেজাজ গরম করে নিয়ে গেলে বরিশাল। কিন্তু তোমার নেতা কি সেই হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য কিছু করেছেন,যদি নাই করেন তাহলে তিনি তোমার বাবার জন্য কি করলেন?তোমার বোনের বিয়ের টাকা জোগাড় করতে বাপের কত কস্ট হলো,তোমার নেতার সহযোগিতা পেয়েছিলে?তোমার নেতা কি তোমার স্কিল ডেভলপমেন্ট করাতে কোনো ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন?করতে নির্দেশনা দিয়েছেন?যদি তাও না দেন তাহলে এ কার পেছনে শোডাউন দিচ্ছেন ভাই আমার? ঐ শো ডাউনে পরে হাত পা ভাংলেও কি এরা খবর নেবেনে? আরও বড় প্রশ্ন নির্বাচনের পরে এই নেতা আপনার ফোন রিসিভ করবে তো?!তাই যুবক ভাইয়েরা সচেতন হোন,ত্রাসের শিক্ষা দেয়া নেতাদের বর্জন করুন।যারা আপনার অধিকার আদায় করে দেবে তাদের সাথে দাড়ান,নিজের অধিকার আদায় করে নিন।দক্ষ হোন,কর্মী হোন,কারও লাঠিয়াল হতে গিয়ে জীবনের মূল্যবান যৌবন শেষ করে পচতাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।।অনেকেই নির্বাচন এলে রাজধানী থেকে এলাকায় ফিরেই নেতা হতে চান,এরা শাসক হবেন,আর ছড়ি ঘুরাবেন।আপনাদের বেকারত্ব কমানোর জন্য এরা কিছুই করে না কেন? কারন তাহলে আপনি আর তার পেছনে ঘুরবেন না।।তাই তাদেরকে খুজুন,যারা আপনাকে প্রশিক্ষিত দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করে কাজের ব্যবস্থা করে আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য কল্যানের হবে।
লেখক:তাইফুর রহমান,সংবাদকর্মী, সমাজকর্মী ও লেখক।।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *