Home রাজনীতি শীতার্তদের ডেকে এনে বক্তৃতা, ক্ষোভ ঝাড়লেন কাদের
জানুuari ২৭, ২০২৪

শীতার্তদের ডেকে এনে বক্তৃতা, ক্ষোভ ঝাড়লেন কাদের

দুস্থ-শীতার্তদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে লম্বা বক্তৃতায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আয়োজকদের ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে তিনি বলেন,আমরা তাদেরকে শীতবস্ত্র দিতে ডাকব শীতবস্ত্রটাই দেব, এখানে ভাষণ দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নাই। এটারতো কোনো দরকার নেই।

রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গনে শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

আয়োজকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা শীতবস্ত্র দিতে শীতার্ত মানুষদের এখানে ডেকে আনলাম তাদের বক্তৃতা শোনাবার দরকার কি? এখানে কেউ বক্তৃতা শুনতে আইছে? তাহলে তো আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের স্বার্থপরতার চিহ্ন রেখে গেলাম! এটা ঠিক না।

তিনি আরও বলেন, যখন আমরা তাদেরকে শীতবস্ত্র দিতে ডাকব শীতবস্ত্রটাই দেব, এখানে ভাষণ দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নাই। এটারতো কোনো দরকার নেই।

লম্বা সিরিয়ালে নেতাদের ভাষণের বিষয়ে তিনি বলেন, ৫-৬ জন ইতোমধ্যে ভাষণ দিয়েছেন আরও আছে? এই লোকগুলো কি ভাষণ শুনেছে কেউ? না শুনতে এসেছে? ফেরদৌস (ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ) তার নায়কের ভঙ্গিতে যেভাবে বলেছে, এটা কি এরা বুঝে? এটা বুঝাবার ক্ষমতা তাদের নাই? এরা আসছে একটা শীতবস্ত্রের জন্য আমার ভাষণ শুনতে আসেনি।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাংবাদিকরা আছেন, আমি পার্টির সেক্রেটারি বা অন্য কোনো নেতারা এখানে থাকলে প্রশ্ন করতে পারেন? সেটা রাজনৈতিক প্রশ্নও আসতে পারে? কিন্তু শীতার্তদের যে বিষয়টা সেটা তাদের শীত বস্ত্র দেওয়ার মধ্যেই সীমিত রাখা ভালো।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি হচ্ছে ডামি দল। ওরা ডামি হয়ে গেছে। শোকে পাথর হয়ে গেছে। নেতাকর্মীদের ঘুম নেই। তারা আশা হারিয়ে ফেলেছে।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমদ, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, নির্মল কুমার চ্যার্টাজী, ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *