Home সারাদেশ শীতার্তদের মাঝে কয়রা সাংবাদিক ফোরামের ৩০০ কম্বল বিতরণ
জানুuari ২৫, ২০২৪

শীতার্তদের মাঝে কয়রা সাংবাদিক ফোরামের ৩০০ কম্বল বিতরণ

মোঃ বায়জিদ হোসেন 
কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ
খুলনার কয়রা উপজেলার  সুন্দরবনের কোলঘেষা মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নে  কালিকাপুর সেক্রেটারি মোড়ে কনকনে শীত উপেক্ষা করে পাঁচ গ্রামের তিন শতাধিক ষাটোর্ধ্ব মানুষ কয়রা সাংবাদিক ফোরামের  কম্বল নিতে হাজির।তীব্র শীতে কাবু হয়ে পড়েছে সুন্দরবন উপকূলের প্রত্যন্ত এই এলাকার খেটে খাওয়া হতদরিদ্র সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার সকালে মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর সেক্রেটারি মোড়ে কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি তারিক লিটুর সভাপতিত্বে ও জি এম শামিম হোসেন রোজেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিল ব্যবসায়ী মো.আলমগীর হোসেন আলম।ব্যবসায়ী মো.আলমগীর হোসেনের অর্থায়নে কয়রা সাংবাদিক ফোরামের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিল কয়রা থানা এসআই ফরিদুজ্জামান,মেডিকেল ইনচার্জ আশরাফ আলী,সাংবাদিক আবির হোসেন,মো.মোক্তার হোসেন,সাবেক ইউপি সচিব আব্দুল গফুর, মিনহাজ দিপু,ইউনুস আলী সহ প্রমুখ।
উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ইউনিয়নের কালিকাপুর,সাতহালিয়া,দক্ষিণ কালিকাপুর, তেঁতুলতল চর, চৌকুনী গ্রামের হতদরিদ্র নিম্ম আয়ের  মানুষ কম্বল পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন।
বাবুরাবাদ গ্রামের ষাটোর্ধ্ব ইউনুস আলী বলেন,এতো শীত গেল, কেউ আমাইগা একবারও খোঁজ নিল না। আজ আমাকে বাড়িত থেকে ডেকেএনে একটা কম্বল দিল।শীতের কষ্ট করতেছিলেম, আজ থেকে একটু হলেও শান্তিতে রাতে ঘুমাতে পারবো।
মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর  গ্রামের সত্তরোর্ধ্ব
মো. শহীদ গাজী বলেন, এতদিন শীতে কষ্ট পাইছি। এখন আমাদের জন্য আমাদেরই ঘরের সন্তান আলমগীর ভাই সহযোগিতায় কম্বল দিছে আল্লাহ তার ভালো করুক বাঁচিয়ে রাখুক এই দোয়া করি। এ বছর এই প্রথম কম্বল পেলাম। আমাদের আর শীতে কষ্ট করতে হবে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি কয়রা থানা এসআই ফরিদুজ্জামান বলেন,আমি আপনাদের মহেশ্বরীপুর বিটের দায়িত্বে আছি ,আপনাদের জন্য সর্বক্ষণ কাজে নিয়োজিত আছি।আপনাদের বিপদ আপাদে পাশে থাকতে চাই।প্রত্যন্ত এই জনপদের মানুষের নিয়ে কাজ করছি।আজকে এই  প্রত্যন্ত এলাকায় কয়রা সংবাদিক ফোরাের মাধ্যমে কম্বল দিতে পেরে ভাল লাগছে।
প্রধান অতিথি ব্যবসায়ী মো. আলমগীর হোসেন বলেন,ঠাণ্ডা বাতাসের দাপটে সুন্দরবন উপকূলের প্রত্যন্ত এই জনপদে শীত জেঁকে ধরেছে সবাইকে। হিম হিম ঠাণ্ডা আর কুয়াশায় নাকাল জনজীবন। শীতের এই তীব্রতা বেশি কাবু করে নিম্ন আয়ের মানুষদের। শীতার্ত অসহায় ও দুস্থ মানুষের উষ্ণতা দিতে আজ এসেছি আপনাদের পাশে,আপনার সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এভাবে যেন আপনাদের পাশে সারাজীবন থাকতে পারি এবং এর চেয়ে ভালো কিছু করতে পারি।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *