আশরাফুলের সমালোচনার ব্যাখ্যা নেই মাশরাফির কাছে
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে সিলেট স্ট্রাইকার্সের প্রথম ম্যাচে বল করেছেন ২.৩ ওভার। দু-তিন পা হেঁটে করা মাশরাফি বিন মুর্তজা একটি উইকেটও পেয়েছেন। সিলেট স্ট্রাইকার্স দলের অধিনায়ককে আজ অবশ্য সেটা করতেও দেখা যায়নি। তিনি ব্যাটিং করতে নেমেছেন তিন নম্বরে। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দৃষ্টিকটু রানআউটের আগে ৭ বলে করেছেন ৬ রান। আজ মাশরাফিকে বোলিং করতেও দেখা যায়নি।
এই টুর্নামেন্টে আসলে…সে (মাশরাফি) কিন্তু খেলতে চাচ্ছিল না, মালিকেরা চাচ্ছে সে মাঠে দাঁড়িয়ে থাকুক। এটা আমার মনে হয়, এই টুর্নামেন্টকে ছোট করা হচ্ছে। কারণ, এই ধরনের টুর্নামেন্ট পুরো বিশ্বজুড়ে দেখছে।
মাশরাফি অবশ্য এবারের বিপিএলের সব ম্যাচ খেলতে চাচ্ছিলেন না। দলের অন্যতম স্বত্বাধিকারী জগলুল হায়দার টুর্নামেন্টের আগে বলেছিলেন, মাশরাফি দাঁড়িয়ে থাকলেই চলবে তাঁদের। মূলত ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের চাওয়ায় মাশরাফির খেলতে হচ্ছে। মাশরাফির একসময়ের সতীর্থ মোহাম্মদ আশরাফুল অবশ্য বিষয়টি ভালোভাবে দেখছেন না। তাঁর মতে, মাশরাফির এভাবে খেলে যাওয়া বিপিএলকে ছোট করছে।
বিপিএল সম্প্রচারকারী টেলিভিশনে সিলেট-রংপুর ম্যাচের বিশ্লেষণী অনুষ্ঠানে আজ আশরাফুল বলেছেন, ‘এই টুর্নামেন্টে আসলে…সে (মাশরাফি) কিন্তু খেলতে চাচ্ছিল না, মালিকেরা চাচ্ছে সে মাঠে দাঁড়িয়ে থাকুক। এটা আমার মনে হয়, এই টুর্নামেন্টকে ছোট করা হচ্ছে। কারণ, এই ধরনের টুর্নামেন্ট পুরো বিশ্বজুড়ে দেখছে। এখানে আমাদের আগামীর খেলোয়াড় আসবে। এই যে ছয় মাস পর আমাদের বিশ্বকাপ। তাদের (সিলেট স্ট্রাইকার্স) দলে কিন্তু রেজাউর রহমান রাজা বসে আছে। যার একটা সুযোগ ছিল, এই টুর্নামেন্টে ভালো করলে বিশ্বকাপে সম্ভাবনা থাকত। এই জায়গায় একটা মিসিং।’
আশরাফুল আরও যোগ করেন, ‘সে (মাশরাফি) ফিট নয়। কারণ, সে দুই-তিন পা দৌড়ে বল করছে। মিডিয়াম পেস নাকি অফ ব্রেক করছে আমি নিশ্চিত না। কিন্তু সে একটা উইকেট পেয়ে গেছে (হাসি)। আদর্শগতভাবে আপনি আরও প্রাণশক্তি চাইবেন, আরও দায়িত্ব নেওয়ার প্রবণতা, আরও তীব্রতা দেখতে চাইবেন। সে খেলছে, আলোচনা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু খেলার দিক থেকে যদি ভাবি, সে আসলে আদর্শ অবস্থায় নেই।’
বাবর এসে বললেন, ‘আমাদের একজন সাকিব আল হাসান আছে’
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আশরাফুলের কথায় সায় দিয়েছেন মাশরাফিও। সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে আশরাফুলের কথার সূত্র ধরেই এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মাশরাফি বললেন, ‘সব জিনিস সব জায়গায় ব্যাখ্যা করা যায় না। তবে আমি যেটা মনে করেছি, এটা (চোট নিয়েও খেলা) আইডিয়াল সিচুয়েশন না। আর কে খেললে ভালো হতো সেটা পরের বিষয়, টিমের বিষয়। ওটা (নিয়ে) তো টিম কারও সঙ্গে আলোচনায় বসবে না বা করবে না। বাট, যেটা আপনি বলছেন, আইডিয়াল সিচুয়েশন অভিয়াসলি ওইটাই (মাশরাফির না খেলা) হওয়া উচিত।’
চোটের সঙ্গে লড়েও খেলে যাওয়া নিয়ে মাশরাফির কথায় বোঝা যায়, অনেকটা অনুরোধের ঢেঁকি গিলেই খেলতে হচ্ছে তাঁকে, ‘টু বি ভেরি অনেস্ট, আইডিয়াল সিচুয়েশনে না হলে (না খেললে) ভালো হয়। কিন্তু অনেক কিছু ব্যাখ্যা করা যায় না।’