Home নির্বাচন মমতাজের পরাজয় দলীয় নেতাদের দ্বন্দ্বে!
জানুuari ৮, ২০২৪

মমতাজের পরাজয় দলীয় নেতাদের দ্বন্দ্বে!

মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনবারের সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। তার এই পরাজয়ের প্রধান কারণ নিজ দলের নেতাদের সঙ্গে কোন্দল বলে মনে করছেন আসনের সাধারণ মানুষসহ নেতাকর্মীরা।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) মানিকগঞ্জের-২ আসনের কয়েকটি এলাকা ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বললে তারা এ বিষয়টি জানান। তবে সাধারণ ভোটারদের সাথে মমতাজ বেগমের জন্য ভালোবাসা রয়েছে বলেও জানান তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী জানান, তার আসনের সিংগাইর ও হরিরামপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের কমিটিতে সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়ে তার পরিবারের সদস্যসহ তার পছন্দের মানুষদের পদে বসানো হয়েছে। তারা দলের নেতাকর্মীদের সাথে খারাপ আচরণ করলেও মমতাজ বেগম তাদের কিছু না বলায় বেশ কয়েকজন নেতা তার বিপক্ষে চলে যায়। শুধু তাই নয়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে অসম্মান করে কথা বলায় অনেক নেতাকর্মী প্রকাশ্যে-গোপনে তার বিপক্ষে কাজ করে। সে কারণেই মমতাজের এই পরাজয় বলে মনে করছেন তারা।

সাবেক সিংগাইর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মাজেদ খান বলেন, মমতাজের সময় এই আসনে তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। সে শুধু নিজের আঁখের গুছিয়েছেন। মমতাজ বেগম গান গেয়ে জনপ্রিয় হতে পারেন। জনগণের জনপ্রিয় হতে না পারার কারণে জনগণ তার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বলে আমি মনে করি। তা না হলে আজ জাহিদ আহামেদ টুলুর পক্ষে এত ভোট দিবে কেন মানুষ। কারণ তিনি মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, গরিব মানুষকে সাহায্য, কৃষকদের পাশে থাকাসহ সকলের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। সে কারণেই মানুষ তাকে ভোট দিয়ে পাশ করিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, মমতাজ বেগম পরিবারের সদস্য ও তার কাছের মানুষদের নেতা বানাচ্ছে। তার ভাগ্নেকে বানিয়েছেন সিংগাইর উপজেলার আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক, ছেলেকে বানিয়েছে পৌরসভার মেয়র। এছাড়াও তিনি সিনিয়র নেতাদের অসম্মান করেন। সে জন্যই তার কাছ থেকে দূরে সরে এসেছি।

সিংগাইর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের ভাগ্নে শহিদুর রহমান শহিদ বলেন, ট্রাকের প্রার্থীর কালো টাকার ভয়াবহ ছড়াছড়ি। সব জায়গায় ৪০-৪১ ভাগ ভোটগ্রহণ হলেও এই আসনের বায়রা ও বলধারা ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলোতে ২ ঘণ্টায়য় ৫৭ ভাগ ভোট দেখানো হয়। প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব। এছাড়াও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম যখন ইউনিয়নের কর্মীদের পাশে রেখে তাদের প্রাধান্য দিতে শুরু করে এবং আওয়ামী লীগের সঠিক নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে শুরু করেন তখন নৌকার চরিত্রের না থাকা কিছু নেতাকর্মীরা সংসদ সদস্যের বিপক্ষে গিয়ে মানুষকে ভুল ধারণা দেয়। এ কারণেই তার এই পরাজয় বলে মনে করেন তিনি।

সিংগাইর উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল বাশার বলেন, উপজেলা নির্বাচনে আ.লীগের পরীক্ষিত নেতাদের মনোনয়ন না দিয়ে, দিলেন তার ভাগ্নে শহিদুর রহমান শহিদকে। আবার পৌরসভার নির্বাচনেও তার সৎ ছেলেকে মনোনয়ন দিয়ে মেয়র বানালেন। সে জন্য আ.লীগের নেতারা তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে তার কাছ থেকে দূরে সরে গেছেন। এসমস্ত কারণেই তার এই পরাজয় বলে জানান তিনি।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *