মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলছে হাজারো যানবাহন
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল যেন কিছুতেই থামছে না।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক যেন মরণ ফাঁদ। মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলছে সকল ধরনের যানবাহন। উপজেলার মান্নান নগর (হামকুড়িয়া চৌরাস্তা) বাজারের পশ্চিমে সমবায় মটর শ্রমিক ফিলিং স্টেশনের পাশের রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যেই মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই সড়কটিতে চলছে যাত্রীবাহী যানবাহন। এর কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। গত সোমবার (১ জানুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রেজাউল করিম নামের এক মোটরসাইকেল মেকার বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হলে তাৎক্ষণিক তাড়াশ থানা পুলিশ এসে হাসপাতালে পাঠালে (৪ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আবার গত (৪ জানুয়ারি)
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে এক মোটরসাইকেল
চালক এখানে দুর্ঘটনায় আহত হন। এর আগেও অনেক
দুর্ঘটনা ঘটেছে। সড়কটি দিনের পর দিন মরণ ফাঁদে পরিণত
হলেও নজর যেন পড়ছে না সংশ্লিষ্টদের। পিচঢালাই উঠে
গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রী ও চালকেরা।
সড়কটি যেন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হচ্ছে, বাড়ছে ঝুঁকি, ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত হাজারো মানুষ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এমন ভাঙ্গাচোরা সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজারো মানুষের। প্রায়ই-প্রতিনিয়ত বিকল হয়ে যায় যানবাহন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে গর্তগুলো ভরাট করলেও অল্প সময়ের মধ্যে তা আবার ভেঙে যাচ্ছে। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনই ছোট বড় দুর্ঘটনা এ রাস্তায় ঘটে। কখনো কখনো গাড়ি উল্টে খাদে পড়ে যায়। এ ভাঙন দ্রুত সময়ে সংস্কার করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। এই রাস্তাটা নষ্ট হওয়ার একমাত্র কারণ মাছ বহনকারী গাড়ি। মাছ বহনকারী গাড়িতে মাছের সঙ্গে থাকা পানি অবাধে পড়ছে রাস্তায়। পানির কারণে অল্প সময়ে রাস্তা থেকে সরে যাচ্ছে পিচঢালাই। যার ফলে রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে।
দুর্ঘটনায় আহত হওয়া মোটরসাইকেল চালক রুবেল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কটির বেহাল অবস্থা। অনেকটা মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে চলতে হচ্ছে। এর মধ্যেই মোটরসাইকেল নিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হলো। সড়কটি যেন মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
বাস চালক আবু বক্কর বলেন, গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের এই জায়গায়টি কতদিন হয়ে গেল খারাপ হয়ে আছে কিন্তু সংস্কার করা হচ্ছে না। এ রাস্তা দিয়ে শতশত যানবাহন চলাচল করছে। আল্প সময়ের মধ্যে যেন রাস্তাটির কাজ করে দেওয়া হয় তাই সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের
নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, রাস্তার পাশে পানির পাম্পের কারনে রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কের ভাঙ্গা জায়গা সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই রাস্তার এক পাশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে তাই অন্য পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।