Home নির্বাচন এবার সরে দাঁড়ালেন সুনামগঞ্জ-১ ও ৪ আসনের প্রার্থী
জানুuari ৩, ২০২৪

এবার সরে দাঁড়ালেন সুনামগঞ্জ-১ ও ৪ আসনের প্রার্থী

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ নির্বাচনী আসনে জাপার প্রার্থী মো: আ: মান্নান ও সুনামগঞ্জ-৪ আসনের বিএনএমের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান শামছুল আবেদীন ভোট থেকে সরে দাঁড়ালেন।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে জামালগঞ্জ সদরের সবজি বাজারের সবজি বিক্রেতাদের জন্য নির্মিত প্রেসক্লাব নামে দখল করা একটি কক্ষে উপজেলার একাংশের সংবাদকর্মীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন সুনামগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো: আ: মান্নান।

জাপার প্রার্থী আব্দুল মান্নান তালুকদার বলেন, ‘লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন পাওয়ার পর আমি নিয়মিত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু প্রচার-প্রচারণাসহ নির্বাচন-সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাচ্ছি না। তারা আমাকে কোনো সহযোগিতা করছেন না।

তিনি বলেন, ‘এতে মনে হচ্ছে এবং আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি আসন ভাগাভাগি ও প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই আমি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন থেকে নিজেই সরে দাঁড়ালাম।’ এ সময় আ: মান্নানের সাথে দলীয় কয়েকজন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

অপর দিকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর নানা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বিএনএমের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান শামছুল আবেদীন।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় তার নিজ বাসবভনে ডাকা সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।

নির্বাচনী মাঠে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকার অভিযোগ এনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) দলের প্রার্থী দেওয়ান শামছুল আবেদীন বলেন, আমি নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর থেকেই আমার বিরুদ্ধে নানা রকমের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয় আর এটি একবার করা হয়নি নির্বাচন কমিশন, সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট সব জায়গা থেকে আমাকে নির্বাচন থেকে সড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সেই জায়গায় আমি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে গিয়ে প্রার্থীতা বৈধতা করে নির্বাচনে ফিরে এসেছি। আমার প্রথমে মনে হয়েছিল নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিন্তু বর্তমানে যা দেখছি সেখানে বলতে হচ্ছে দেশে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডটাই নাই। আমার সমর্থিত মানুষদের ক্ষমতাশীলরা হামলা চালিয়েছে মারধর করেছে। তাছাড়া যাদের বিরুদ্ধে অনেক পুরোনো রাজনৈতিক মামলা ছিল সেগুলো দেখিয়ে আবারো আমার মানুষদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। সেজন্য এখানে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এছাড়া এই আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী দুই হাত ভরে টাকা বিলাচ্ছেন। যেখানেই যাচ্ছেন টাকা দিয়ে আসছেন এটা নির্বাচনে পরিবেশ নয়। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর এবং আমি আজকে থেকে কোনো প্রার্থী নই। আগামী ৭ জানুয়ারির ভোট প্রত্যাখান করলাম।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিগত নির্বাচন গুলোতে বিনা ভোটে এমপি হয়েছেন এবং নৌকার প্রার্থী ও ফাঁকা মাঠে গোল করার চেষ্টা করছেন। একটি নীরব বিপ্লব ঘটানোর চেষ্টা করছেন।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *