টঙ্গীতে নৌকা-স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মারামারি, থানায় জিডি
গাজীপুরের টঙ্গীতে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন সমর্থক ও নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের মারামারির অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বেলা আড়াইটা দিকে হাজী মাজার বস্তি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের চার সমর্থক আহত হয়। টঙ্গী পশ্চিম থানায় পৃথক দুইটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে উভয়পক্ষ।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে টঙ্গী বাজার এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের ট্রাক প্রতীকের নির্বাচন কমিটির আহবায়ক শেখ মো. নজরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র রাখী সরকার, আওয়ামী লীগ নেতা আজহার উদ্দিন বেপারী, স্থানীয় যুবলীগ নেতা টুটুল সরকার, জয় সরকার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শুক্রবার জুমার নামাজের পর স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা হাজী মাজার বস্তি এলাকায় নির্বাচনি প্রচারণার লিফলেট বিলি করছিলেন। এ সময় নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর (ট্রাক) সমর্থক বোরহান উদ্দিন ও নুরে আলমের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তাদের মধ্যে নুরে আলমের ডান হাত ভেঙ্গে যায়।
আহত বোরহান উদ্দিন বলেন, আমরা ট্রাকের লিফলেট বিলি করছিলাম। পরে নৌকার সমর্থকরা আমাকে ও নুরে আলমকে মারধর করেছে। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে।
ট্রাক প্রতীকের সমর্থক মনোয়ারা বেগম বলেন, লিফলেট বিলি করার সময় নৌকার লোকজন আমাকে বলেন, তুমি ট্রাকের প্রচারণ করতে পারবে না। নৌকার প্রচারণা করলে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। না হয় প্রচারণা করতে দেওয়া হবে না।
অপরদিকে একই ঘটনায় নৌকা সমর্থক আমিনুল ইসলাম স্বপন বলেন, নির্বাচনি পোস্টার লাগানো নিয়ে তর্ক-বির্তকের এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ সময় আমিসহ দুইজন আহত হয়েছি। এ ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো, সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় দুইটি জিডি নেওয়া হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।