দাউদ ইব্রাহিমকে বিষ খাইয়ে হত্যাচেষ্টা, অবস্থা আশঙ্কাজনক
দাউদ ইব্রাহিম। যিনি ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বাইয়ে বোমা হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। এ সিরিজ বোমা হামলার প্রাণ হারান ২৬৭ জন। এবার তিনি নিজেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায়। ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, দাউদ ইব্রাহিমের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে কে বা কারা তাকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করতে চেয়েছে তা জানা যায়নি।
আন্তর্জাতিক অপরাধী ও ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন’ হিসেবে পরিচিত দাউদ ইব্রাহিকে বর্তমানে করাচির একটি হাসপাতালে কড়া নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে। হাসপাতালের যে অংশে তিনি আছেন, সেখানে আর কোনো রোগীকে রাখা হয়নি। কাউকে কাছে ঘেঁষতেও দেওয়া হচ্ছে না। গত দুদিন ধরে একই হাসপাতালে রয়েছেন দাউদ।
যদিও তার অসুস্থ হয়ে পড়া নিয়ে সর্বমহলে চলছে ব্যাপক আলোচনা। ৬৮ বছর বয়সী এই আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন শারীরিকভাবেও হারিয়েছেন কৈলাশ। নেটিজেনরা বলছেন, বয়সজনিত নানা শারীরিক সমস্যা তার দেখা দিতে পারে। তবে কেউ কেউ বলছেন, দাউদকে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছে। সেই কারণেই তিনি গুরুতর অসুস্থ। তবে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি কোনো পক্ষ থেকে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমেও বিষপ্রয়োগের তথ্য নিয়ে জল্পনা রয়েছে।
দাউদ ইব্রাহিমকে বিষ খাইয়ে হত্যাচেষ্টা, অবস্থা আশঙ্কাজনক
চাকরি নিয়ে বিদেশ যেতে আগ্রহীদের জন্য সুখবর
দীর্ঘদিন ধরেই করাচিতে বসবাস করছেন দাউদ ইব্রাহিম। গত অক্টোবরে জানা গিয়েছিল, দাউদ ইব্রাহিম কাসকরকে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (আইএসআই) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (ডেপুটি ডিরেক্টর) পদে বসানো হয়েছে।
আইএসআই’র সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গত কয়েক দশকে আইএসআইকে নানাভাবে অনেক উপকৃত করেছেন দাউদ ইব্রাহিম। তারই স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মুম্বাইয়ে প্রাণঘাতী সিরিজ বোমা হামলার পর দুবাই হয়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নেন দাউদ। এ সময় করাচিতে ঘাঁটি তৈরি করেন। বারবার আইএসআইয়ের সঙ্গে দাউদের যোগ নিয়ে সরব হয়েছে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থা। যদিও পাকিস্তান বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করেছে। জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।