রাজের সাথে বিচ্ছেদ। অতঃপর নিজের সবচেয়ে কাছের মানুষটির চলে যাওয়াটাকে কোনোভাবেই যেন মেনে নিতে পারছেন না। তবে একেবারেই ভেঙে পড়ার মানুষ নন পরী। তিনি বললেন, ‘অনেক বেশি কাজ করতে হবে, বিষয়টি তা না। আমি হারিয়ে যাইনি। আমি ঢাকাই সিনেমায় আছি, ভালোভাবেই আছি। জীবন হয়তো আমার কাছে পরীক্ষা নিচ্ছে। আমি ভেঙে পড়ার মানুষ নই।’
তিনি আরো বলেন, ‘সুন্দর সুন্দর সিনেমা করতে চাই। সংখ্যাটা বড় না। ভালো ভালো সিনেমায় আমাকে দেখতে চাই। প্রতিদিন আমার কাছে স্ক্রিপ্ট আসছে। ধীরে ধীরে কাজ করতে চাই। অসংখ্য কাজ তো কোনো শিল্পীই করতে পারবেন না। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি একদম বেছে বেছে, ভালো ভালো কাজ করব। এখন আমার সন্তান আছে, তাকে সময় দিতে হয়। সবকিছু ভেবেই শুটিং করতে হবে।’
জীবনটাকে কীভাবে সাজাতে চান— এমন প্রশ্নের উত্তরে ঢাকাই এই শীর্ষ নায়িকা বলেন, ‘সন্তানের প্রাধান্য আমার কাছে বেশি। সিনেমাও করব। কিন্তু সন্তানকে সময় দেবো না, এটা ভাবতেই পারি না। তবে এর ভেতরে বেশকিছু চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপনী সংস্থার কাজ করছি। নানু মারা যাবার পর আসলে আমার স্বাভাবিক হতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে। তবে কাজ করে যেতে চাই। নিজের কঠিন সময়ে যাদের পাশে পেয়েছি, সত্যিই তাদের কোনোদিন ভুলব না।’
ঢালিউডে পরীমণির ক্যারিয়ারের শুরুটা হয়েছিল বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্র দিয়ে। ‘ভালোবাসা সীমাহীন’, ‘পাগলা দিওয়ানা’, ‘নগর মাস্তান’, ‘লাভার নাম্বার ওয়ান’ ইত্যাদি সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিতে গ্ল্যামারকন্যা হিসেবে ভালোই পরিচিতি পেয়েছিলেন এ চিত্রনায়িকা। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকেও পাল্টে ফেলেছেন পরী। বাণিজ্যিক ধারার ছবি থেকে বের হয়ে ‘গুণিন’, ‘স্বপ্নজাল’, ‘প্রীতিলতা’ বা ‘মা’র মতো গল্পনির্ভর সিনেমাই তিনি বেশি কাজ করেন।