Home নির্বাচন তথ্য গোপন করেও মাশরাফিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারলেন না লিটু
Disember ৭, ২০২৩

তথ্য গোপন করেও মাশরাফিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারলেন না লিটু

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। তিনি মাশরাফি বিন মুর্তজার প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চেয়েছিলেন কিন্তু লিটুর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।

তিনটি কারণে বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটুর প্রার্থিতা বাতিল হয়। মামলার অসম্পূর্ণ তথ্য, আয়কর রিটার্ন দাখিল না করা এবং ১ ভাগ ভোটারের স্বাক্ষর জালের কারণে তার মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। গত উপজেলা নির্বাচনে তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে সিনিয়র নেতারা দাবি করছেন।

মাশরাফির ওপর ২০১৮ সালে দলের মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে দলের সিনিয়র ত্যাগী নেতা অখুশি। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজামউদ্দিন খান নিলুসহ ডজনখানেক নেতা দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দলীয় মনোনয়ন চান; কিন্তু মাশরাফি পুনরায় আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পরে তার সমর্থকদের কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করে নিজামউদ্দিন খান নিলু সংবাদ সম্মেলনে করেন। তিনি মাশরাফির সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীদের হোন্ডা আর গুন্ডার সঙ্গে তুলনা করেন। মাশরাফির মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সময় তার অনুপস্থিতিটা আরও স্পষ্ট করে তোলে।

এদিকে দলে কোনো বাধা না থাকলেও মাশরাফির জনপ্রিয়তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বড় কোনো নেতাই আসন্ন সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি। এক্ষেত্রে গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত সৈয়দ ফয়জুর আমির লিটুকে তারা ব্যবহার করেছেন। তিনি লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান।

২০১৮ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন সৈয়দ ফয়জুর আমির লিটুর বিরুদ্ধে টিআর প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার রমনা থানায় মামলা করা হয়। তিনি ওই মামলার তথ্য হলফনামায় প্রদান করেননি। তার নামে হত্যাসহ ৬টি মামলা রয়েছে, যার ১টিতে খালাস পান এবং হলফনামায় ৫টি মামলার তথ্য দিলেও বাকি একটি মামলার তথ্য দেননি। মামলার অসম্পূর্ণ তথ্য, আয়কর রিটার্ন দাখিল না করা এবং একভাগ ভোটারের স্বাক্ষর জালের কারণে তার মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

নড়াইল কোর্ট ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম খান বলেন, সৈয়দ ফয়জুর আমির লিটুর নামে ৬টি মামলা হলেও তিনি তথ্য দিয়েছেন ৫টির, এটি অসম্পূর্ণ তথ্য। ঢাকায় দুদকের মামলার কোনো তথ্য তিনি রিটার্নিং অফিসকে অবগত করেননি।

এ প্রসঙ্গে নড়াইলের জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন, হলফনামায় ৩ পর্যায়ে ভুল তথ্য প্রদান করায় সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটুর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তার আপিল করার অধিকার আছে। আপিল করলে পরবর্তী ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশন নেবে।

৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাতিলের পর সৈয়দ ফয়জুল আমির নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন বলে জেলা রিটার্নিং অফিস থেকে সার্টিফাইড কপি তুলেছেন। অসম্পূর্ণ তথ্য প্রদানের ব্যাপারে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার পরও তাকে পাওয়া যায়নি।

জেলা আওয়ামী লীগ দপ্তর থেকে জানা গেছে, বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সৈয়দ ফয়জুর আমির লিটু বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। সেই সময় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *