Home সারাদেশ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মৌ মৌ গন্ধে  ফসলী মাঠে পাকা ধান, বন্যার আতংকে কৃষক
Disember ৫, ২০২৩

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মৌ মৌ গন্ধে  ফসলী মাঠে পাকা ধান, বন্যার আতংকে কৃষক

এস এম সাইফুল ইসলাম কবির,বাগেরহাট :

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চলতি আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন ফসলী মাঠ জুড়ে সবত্রই পাকা ধানে মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা কৃষক। তবে, ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ বন্যার আতংকে রয়েছে সাধারণ কৃষকরা।

সরেজমিন ও উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছওে এ উপজেলায় ২০ হাজার ৫শ’ ৩৫ হেক্টর জমিতে দেশী আমন ধান ফসল ও উচ্চ ফলনশীল জাতের উফশী ধান ৫ হাজার ৮শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন করেছে কৃষক। ১৬টি ইউনিয়নসহ পৌরসভায় আগাম জাতের ধান কর্তন শুরু হয়েছে। সেই মুর্হুতে বঙ্গপসারে সৃষ্টি লঘ চাপে ঘূর্নিঝড় মিউজাউন আতংকে পড়েছে কৃষক।

বলইবুনিয়া ইউনিয়নে ১১শ’ ৮০ হেক্টর জমিতে আমন ফসলের মধ্যে ১ হাজার ৮০ হেক্টর উচ্চ ফলনশীল জাতের এবং ১০০ হেক্টর জমিতে দেশী আমন ফলন হয়েছে। এর মধ্যে ২০% জমির ধান কর্তন করে ঘরে তুলতে পেরেছে কৃষক। বাকি ধান মাঠে থাকায় দুশ্চিন্তায় কৃষক। ২০/২৫ দিনের মধ্যে ধান কাটা শেষ হবে।
কালিকাবাড়ি গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম, গফফার শেখ, দোনা গ্রামের আজিজুল হাকিম, আমবাড়িয়া গ্রামের কৃষক পাইক, দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নের গাজিরঘাট গ্রামের বাদশা খান, সাইফুল তালুকদার, নিখিল ডাকুয়া একাধিক কৃষকরা বলেন, এ বছরে তাদের জমিতে আমন ধানের  বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু ধান ঘরে তুলতে পেরেছে। আর মাত্র ৩ সপ্তাহ সময় পেলে সব ধান কর্তন করতে পারব। হঠাৎ বন্যার খবর পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। কয়েকদিন আগে বন্যায় ধান হেলে পড়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে। আবারও যদি বন্যা হয় বছরের খোরাক ঘরে তোলা যাবে না। গরুর গো-খাদ্যও সংকটে পড়বে।

এ বিষয়ে বলইবুনিয়া ইউনিয়ন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ও দৈবজ্ঞহাটী কৃষি কর্মকতা মিজানুর রহমান ও মশিউর রহমান বলেন, তাদের এলাকায় উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান উৎপাদন করেছে বেশীরভাগ কৃষক। দেশী আমনের চাষ করেছে কম। যে কারনে আগাম ধান কর্তন করতে পারছে কৃষক। ইতোমধ্যে কৃষকদেরকে বন্যার বার্তা দেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুক ও হোয়াটসপে  অবহিত করা হয়েছে।

এ সর্ম্পকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আকাশ বৈরাগী বলেন, এ উপজেলায় ৪৯ টি ব্øকে কৃষকদেরকে ইউনিয়ন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যেমে আবহাওয়ার পূবার্ভাস বার্তা ও করনীয় সর্ম্পকে অবহিত করা হয়েছে। ৮০ ভাগ পাকা ধান কর্তন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামি এক মাসের মধ্যে দেশী আমন ধান কর্তন করে কৃষক ঘরে তুলতে পারবে। উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান বেশীরভাগ কেটে ফেলছেন কৃষক। বন্যা হলেও তেমন একটা ক্ষতির প্রভাব পড়বে না।  #

** ছবি সংযুক্ত আছে।
(এস এম সাইফুল ইসলাম কবির)                                                                                                                                                   বাগেরহাট প্রতিনিধি
০১৭১১৩৭৭৪৫০

তারিখ-৫.১২.২০২৩।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *