Home নির্বাচন রাজনীতিতে একদম ক্লাস ওয়ানের ছাত্র: সাকিব
নভেম্বর ২৯, ২০২৩

রাজনীতিতে একদম ক্লাস ওয়ানের ছাত্র: সাকিব

মাগুরা-১ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার পর প্রথমবার নিজের এলাকা মাগুরায় গেলেন বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের যে নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ, তাতে মাগুরা-১ আসনে সাকিব আল হাসানকে নৌকার মাঝি করা হয়েছে।

মনোনয়ন ঘোষণা শেষ হওবার পর থেকেই উৎসুক মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে সাকিবের মাগুরা শহরের কেশব মোড়ের বাড়িতে। বুধবার সাকিবের এলাকায় যাওয়ার খবরে সকাল থেকেই উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিল সেখানে।

বেলা আড়াইটার দিকে শ্রীপুরের ওয়াপদা গড়াই সেতু পার হয়ে মাগুরায় প্রবেশ করেন সাকিব। হাজার হাজার নেতাকর্মী ও ক্রিকেটের অনুরাগী মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে সাকিবকে অভ্যর্থনা জানান।

<div class="paragraphs"><p>জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সাকিবকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।</p></div>

জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সাকিবকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

এরপর মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সভায় যোগ দেন সাকিব। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

সভায় সাকিব বলেন, “মাগুরা-১ আসনের বিষয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দিক- নির্দেশনা দিয়েছেন। আমি সংসদ সদস্য শ্রদ্ধাভাজন সাইফুজ্জামান শিখরের হাত ধরে এই নির্বাচনি এলাকায় সব কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাই।

<div class="paragraphs"><p>মাগুরার নেতাকর্মী&nbsp;ও ক্রিকেট অনুরাগীরা মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে সাকিবকে অভ্যর্থনা জানান।</p></div>

মাগুরার নেতাকর্মী ও ক্রিকেট অনুরাগীরা মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে সাকিবকে অভ্যর্থনা জানান।

“আমি ক্রিকেটার হলেও রাজনীতিতে একদম নতুন, ক্লাস ওয়ানের ছাত্র। এজন্য নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীর সহযোগিতা কামনা করছি।”

নির্বাচিত হলে আগামী দিনে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাকিব। এজন্য নির্বাচনে নৌকার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ ও সাধারণ সম্পাদক পংকজ কুণ্ডু তাদের বক্তব্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাকিব আল হাসানসহ মাগুরার দুটি আসনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

সাকিবকে সহযোগিতার আশ্বাস, কেউ কেউ মানতে পারছেন না

সভা শেষে সাকিব মাগুরা পৌর কবরস্থানে দাদি রেবেকা বেগম ও আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতাদের কবর জিয়ারত করেন। সেখান থেকে তিনি মাগুরা স্টেডিয়ামে বন্ধুমহল ও মাগুরাবাসীর পক্ষ থেকে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। পরে তার জন্মস্থান মাগুরা শহরের কেশব মোড়ের বাড়িতে যান।

সাকিবের আগমন ঘিরে তার বাড়িতে আগে থেকেই হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। সাকিব উপস্থিত নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনতার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

‘প্রার্থী নন, তাই নজরও নেই’

মাগুরা নির্বাচনি এলাকায় সাকিব আল হাসানের আগমনে হাজার হাজার নেতাকর্মীর জমায়েত ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার বক্তব্যও ইসির নজরে আসেনি।

জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ জানান, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রার্থী হিসেবে পরিগণিত হবেন। কিন্তু যিনি এখনও প্রার্থী নন, তার বিষয়ে আচরণবিধি প্রতিপালন তো প্রযোজ্য হবে না।

সাকিবের আচরণবিধি লঙ্ঘনের মত কোনো বিষয় অবগত নন বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।

তিনি জানান, আচরণবিধি প্রতিপালনে নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী হাকিম ও বিচারিক হাকিম নিয়োজিত রয়েছে।

নির্বাচন কমিশনেও সাকিবের আচরণবিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ আসেনি বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এর আগে ২২ নভেম্বর রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীকে সতর্ক করার নজির রয়েছে। রাজশাহীর একটি স্কুল মাঠে ‘দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়’ এর ব্যানারে জনসমাবেশের আয়োজন করাকে ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের সামিল’ উল্লেখ করে এ সংসদ সদস্য, উদ্যোগ গ্রহণকারীকে সতর্ক করে দিতে বলে ইসি।

তফসিল ঘোষণার পর থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা এবং সভাকে কেন্দ্র করে আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে ২৬ নভেম্বর সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, আচরণবিধিমালার মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। মনোনীত প্রার্থী, সম্ভাব্য প্রার্থী- এরা কেউ প্রার্থী নয়। মনোনয়নপত্র দাখিল করার পরে যিনি চূড়ান্ত হবেন তিনিই প্রার্থী।

তিনি জানান, ইসির কোনো আইনে বলা নেই- দলীয় ফরম কেনার সময় শোডাউন করতে পারবেন না, গাড়ি-ঘোড়া নিয়ে যেতে পারবেন না, দলবদ্ধভাবে যেতে পারবেন না বা আনন্দ-উল্লাস করতে পারবেন না। এটা বলা নেই। এখনও নির্বাচনি আচরণবিধিমালা প্রযোজ্য হয়নি। মূল কথা হচ্ছে, (প্রচারের সময় শুরু হলে) কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করা যাবে না।

শোডাউনের কথা আমাদের আইনে বলা রয়েছে, সেটি হল যখন মনোনয়পত্র দাখিল করতে যাবে। আইনের পরিধির মধ্যে থাকতে চাই, সীমিত থাকতে চাই। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ বা জমার সময় কিভাবে যেতে হবে তা স্পষ্টভাবে বলা রয়েছে। এটা লঙ্ঘন করা যাবে না।”

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *