যারা আন্দোলন করবে না তাদের একসময় আক্ষেপ করতে হবে : নজরুল ইসলাম খান
জনগণকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, এ সরকারবিরোধী আন্দোলন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, একটা ফ্যাসিস্ট শাসক থেকে মুক্ত হওয়ার যে লড়াই, সে লড়াইয়ে যুক্ত হতে যাদের বয়স আছে, যাদের সুযোগ আছে, যাদের সক্ষমতা আছে, তারা যদি যুক্ত না হয়, তাহলে একসময় আক্ষেপ করতে হবে।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বিদ্যমান সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবী প্রতিনিধিদের সাথে জাতীয় সংলাপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সহিংসতা ছড়ায় ফকিরাপুল, বিজয়নগর, কাকরাইল, পল্টন, মতিঝিলসহ আশপাশের এলাকায়। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা এবং এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। পণ্ড হয় বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশ।
এরপর থেকেই আড়ালে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এক মাস পর ইসলামী আন্দোলনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রকাশ্যে এলেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, একদিক থেকে সরকারকে ধন্যবাদ দিতে পারেন। তাদের অত্যাচার-নিপীড়ন সবাইকে এক করে ফেলেছে। আমরা আজ সবাই মজলুম। নিপীড়িতের ঐক্য আমরা দেখছি। আজ আমাদের মধ্যে যে আকাঙ্ক্ষার সঞ্চার পীর সাহেব করলেন, এটা পূরণের ও পালন করার উদ্যোগ নিতে হবে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, শুধু সরকার পরিবর্তন নয়। আমরা রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দিয়েছি। আমাদের সবার উদ্দেশ্য যদি ঠিক থাকে, তাহলে সমস্যা সমাধান করা কঠিন কিছু না।
লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নাই- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভয়ের কিছু নাই। একদমই ভয়ের কিছু নাই। আমরা আল্লাহ তায়ালার ওপর বিশ্বাস করি। আল্লাহ যতদিন না নেবেন, তার আগ পর্যন্ত নেয়ার কোনো ক্ষমতা নাই কারো। যুদ্ধে যেতে হবে। অন্যায়কে পরাভূত করতে হবে। সাধারণ মানুষ হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব এ সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো, বিজয়ী হওয়া এবং জনগণের কাঙ্ক্ষিত বিজয় নিশ্চিত করা।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, গণফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল, গণঅধিকার পরিষদের (রেজা কিবরিয়া) মিয়া মশিউজ্জামান প্রমুখ।