Home বিনোদন হারিয়ে যেতে চান প্যালট্রো
নভেম্বর ১৫, ২০২৩

হারিয়ে যেতে চান প্যালট্রো

অস্কারজয়ী অভিনেত্রী গিনেথ প্যালট্রো অনেক দিন ধরেই অভিনয়ে অনিয়মিত। নানা ধরনের ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটান। তবে মার্কিন সাময়িকী বাসেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৫১ বছর বয়সী অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ব্যবসা বেচে দিয়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যেতে চান তিনি।
‘সবকিছু ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে চাই। একদম লাপাত্তা হয়ে যাব। কেউ আর আমাকে কখনো দেখতে পাবে না।’ সাক্ষাৎকারে এভাবেই নিজের ইচ্ছার কথা জানান অভিনেত্রী। তারকাজীবন ছেড়ে আড়ালে চলে যেতে একটুও খারাপ লাগবে না বলেও জানান প্যালট্রো। তিনি বলেন, ‘তারকাখ্যাতি উপভোগ করার ইচ্ছা আমার নেই। আমি একেবারেই মানুষের চোখের আড়ালে চলে যেতে চাই।’

অস্কারজয়ী অভিনেত্রী গিনেথ প্যালট্রো
অস্কারজয়ী অভিনেত্রী গিনেথ প্যালট্রোফেসবুক

অভিনয়ে অনিয়মিত হয়ে যাওয়ার পর ব্যবসায় সময় দিয়েছেন প্যালট্রো। এ সময় নতুন বুদ্ধি বের করা, কৌশলগত পরিকল্পনাসহ নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন প্যালট্রো। এসব সৃজনশীল কাজ বেশ উপভোগ করেছেন তিনি। তবে কেন ব্যবসা ছেড়ে অন্তরালে যেতে চান? না, এ প্রশ্নের উত্তর অবশ্য তিনি খোলাসা করেননি। অনেকেই ভাবতে পারেন, পরবর্তী জীবনের জন্য যথেষ্ট অর্থ জমা হয়েছে, সে জন্যই হয়তো সব ধরনের কাজ থেকে অবসরে যাচ্ছেন প্যালট্রো। তবে সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী খোলাসা করেছেন, অর্থ নিয়ে তিনি কোনো দিনই আগ্রহী ছিলেন না। প্যালট্রোর ভাষ্য, ‘খুব ধনী হতে হবে, এ ধরনের চিন্তাভাবনা কখনোই আমাকে আকর্ষণ করেনি। অর্থ অবশ্যই দরকার, তবে এটা আমার মূল চালিকা শক্তি নয়।’ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি আরও বলেন, ‘ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় আমি তো ইনডিপেনডেন্ট ঘরানার সিনেমায় অভিনয় করেছি। ফলে বুঝতেই পারছেন, টাকা আমার কাছে বড় ব্যাপার নয়।’

শিগগিরই লাপাত্তা হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও কাজটা করতে বছর কয়েক সময় লাগবে বলেও জানান অভিনেত্রী। মূল ঝামেলা তাঁর ব্যবসা বিক্রি করা নিয়ে। প্যালট্রো বলেন, ‘আমরা এখনো পুরোপুরি তৈরি নই (ব্যবসা বিক্রি করতে)। সম্ভবত কয়েক বছর লেগে যাবে। কে কিনবেন, সেটাও বলতে পারি না।’
১৯৮৯ সালে টিভি সিনেমা হাই দিয়ে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন প্যালট্রো। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তাঁকে দেখা গেছে সেভেন, স্লাইডিং ডোরস, আ পারফেক্ট মার্ডার, শ্যালো হাই ইত্যাদি সিনেমায়। আর শেক্‌সপিয়ার ইন লাভ সিনেমার জন্য তিনি অস্কার পুরস্কার পান। এ ছাড়া তাঁর ঝুলিতে আছে গোল্ডেন গ্লোব, এমির মতো পুরস্কার।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *