গৃহবধূর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুনে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মুজাহিদপুর গ্রামে দাবি করা পাঁচ হাজার টাকা দিতে না পারায় নাজমা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে ঝলসে দেওয়া হয়েছে। তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এর আগে শনিবার রাতে ওই গৃহবধূকে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে মুজাহিদপুর গ্রামের ফখরুল ইসলামের ছেলে মো. রাসেলের সঙ্গে বিয়ে হয় নাজমা আক্তারের। বিয়ের পর থেকে এ যাবত রাসেলকে কয়েক দফায় বিভিন্ন কাজে দুই লাখ টাকা যৌতুক দেন নাজমার পরিবার। গত ৬ নভেম্বর সিএনজি চালিত অটোরিকশার কাগজপত্র নবায়ন করতে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করে রাসেল। তার দাবি করা টাকার জন্য বাবার বাড়ি গিয়ে শনিবার সকালে খালি হাতে স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসে নাজমা।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার দুপুরে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙতে থাকে রাসেল। বিষয়টি বুঝতে ফেরে তাকে বাধা দিতে আসে নাজমা, এ সময় রাসেল নাজমার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে নাজমার চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিবিয়ে নাজমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আগুন দেওয়ার আগে ও পরে শ্বশুর, শাশুড়ি ঘরে থাকলেও কেউ নাজমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ করেছেন নাজমা।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ইস্তিয়াক হোসেন জানান, আগুনে নাজমার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার বুক ও পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ফোসকা দেখা দিয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হতে পারে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার এসআই স্পেস ল্যাব চৌধুরী প্রমোজ জানান, দাবিকৃত পাঁচ হাজার টাকা না পেয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাবার বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়েরের পর আটককৃত ৪ জনকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।