‘নিজ ভূমিতে মারা যাওয়া আমাদের জন্য সম্মানের’
ঘর হারিয়ে অবরুদ্ধ গাজার ধ্বংসস্তূপের ওপর বসে আছেন ইসরায়েলি হামলার ভুক্তভোগী ফাতিমা ইমান। তিনি উপত্যকার রাফাহ নামের একটি শহরে বসবাস করছেন। ইসরায়েলি বিমান হামলায় তার বাড়িটি ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু মৃত্যুকে পরোয়া না করে, বিধ্বস্ত ঘরের আঙিনায় দিন কাটাচ্ছেন তিন সন্তানের এই জননী।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিন আমাদের মাতৃভূমি। আমরা এখানেই জন্মগ্রহণ করেছি। আমাদের পূর্বপুরুষদের জন্মও এই মাটিতে। আমারা কেন এ ভূমি ছেড়ে যাব? নিজ ভূমিতে মরতে পারাটাও আমাদের জন্য সম্মানের।’
‘আমরা দ্বিতীয় দিন অনেক আশা নিয়ে এসেছিলাম। বিশ্বাস করার চেষ্টা করছিলাম, আমাদের বাড়ি অক্ষত আছে। কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। এখন রাতের বেলায় আমরা স্কুলে আশ্রয় নেই। আর দিনের বেলায় ধ্বংস করে দেওয়া বাড়ির আঙিনায় ছেলেমেয়েদের নিয়ে থাকি। এখানে আমাদের বাড়িটি নেই, কিন্তু ভূমিটা তো আমাদের। এটাই এখন একমাত্র সান্ত্বনা।’
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হলেও এগিয়ে আসছে না বিশ্ব সম্প্রদায়। উপত্যকাজুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। যা চাহিদার তুলনায় মহাসমুদ্রে কয়েক ফোঁটা পানি ফেলার মতোই।
‘আমরা কেমন আছি, সেটা দেখতেই পাচ্ছেন। খাওয়ার জন্য অস্থায়ী চুলায় আটার সুজি বানাচ্ছি। এ ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই। আমরা কেমন আছি, তা দেখতে কেউ আসেনি, কোনো খবরও রাখেনি। আমরা মোটামুটি একটি দুর্ভিক্ষের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।’
এদিকে, বুধবার গাজায় ত্রাণবাহী ১০৬টি ট্রাক ঢুকেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। এসব ট্রাকে খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী নেওয়া হলেও গাজায় জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।