Home দেশ-বিদেশের যু্দ্ধ গাজায় গিয়ে বিপাকে ইসরায়েল, ১৩৬ সামরিক যান ধ্বংস
নভেম্বর ৯, ২০২৩

গাজায় গিয়ে বিপাকে ইসরায়েল, ১৩৬ সামরিক যান ধ্বংস

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। তবে এ অভিযান চালাতে গিয়ে হামাসের পাল্টা আক্রমণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে ইসরায়েল। হামাসের হামলায় এরই মধ্যে তারা ১৩৬ সামরিক যান হারিয়েছে বলে দাবি কেরেছে ফিলিস্তিন। বুধবার (৮ নভেম্বর) হামাসের সামরিক শাখা এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আনাদোলুর।

হামাসের সামরিক শাখা জানিয়েছে, তারা গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের ১৩৬ সামরিক যান ধ্বংসের তালিকা নথিভুক্ত করেছে।

সামরিক শাখার মুখপাত্র আবু উবায়দা আল-আকসা টিভিতে বক্তৃতাকালে বলেন, আমরা ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর ১৩৬ যান ধ্বংস করেছি। এগুলোর কোনোটা আংশিক আবার কোনোটা পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে এসব যান ধ্বংস করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শত্রুরা (ইসরায়েলিরা) গাজায় অব্যাহত বিমান হামলা ও গণহত্যা চালিয়ে বিদেশি জিম্মিদের মুক্তিকে বাধাগ্রস্ত করছে। গত কয়েক দিন আগে ১৩ জিম্মির মুক্তির প্রক্রিয়াকে তারা বাধাগ্রস্ত করেছে।

বন্দিবিনিময় নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের বন্দিবিনিময়ের একমাত্র পন্থা হলো চুক্তি। এর মাধ্যমে আংশিক বা পুরোপুরি একসাথে। এমনকি দলগতভাবেও হতে পারে। আমাদের কাছে যেমন তাদের নারী, বৃদ্ধ ও অসুস্থ বন্দি রয়েছে ঠিক তেমনি তাদের কাছে আমাদেরও এমন বন্দি রয়েছে।

দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের ২৪২ জনকে জিম্মি করেছে হামাস। অন্যদিকে এ সময়ে ফিলিস্তিনের ৬০০০ হাজার ব্যক্তিকে বন্দি করে রেখেছে ইসরায়েলিরা।

ইসরায়েলি এসব বন্দিদের মুক্তির দাবিতে তাদের পরিবারগুলো বারবার দাবি জানিয়ে আসছে। এমনকি তারা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে।

আবু উবায়দা বলেন, ইসরায়েলের ক্রমাগত বোমা হামলা ও গণহত্যার মধ্যে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে হামাস।

এর আগে গতকাল বুধবার এক ডজনের বেশি জিম্মিকে মুক্তির প্রক্রিয়ার কথা জানায় ফিলিস্তিন। কাতারের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির জন্য এসব জিম্মির মুক্তির বিষেয়ে আলোচনা চলছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এসব জিম্মিকে মুক্তিতে স্বল্প সময়ের যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে হামাস। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় ও কাতারের মধ্যস্থতায় জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারে আলোচনা চলছে। ১০ থেকে ১৫ জন জিম্মির মুক্তির বদলে এক বা দুদিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতিতের সম্মত হতে পারে দুপক্ষ।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *