গাজীপুরের মহানগরীর কোনাবাড়ী থানার আশপাশের বিভিন্ন কারকানার শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করছে। আন্দোলনরত শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে উত্তেজিত শ্রমিকরা দুই বাসে অগ্নি সংযোগ করেছে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকাল থেকে কোনাবাড়ি ও কাশিমপুর এলাকার বিভিন্ন গার্মেন্টস শ্রমিকেরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মিছিল বের করে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পুলিশ তাদের মহাসড়ক থেকে সরাতে কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ছুঁড়ে। এরপরই বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। পাশাপাশি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
জানা গেছে, বেতন বাড়ানোর দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে কোনাবাড়ি ও কাশিমপুর থানার আশপাশের এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছিল। আন্দোলন চলাকালে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের বেশ কয়েকবার ধাওয়া ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শ্রমিকরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে কোনাবাড়ি এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যাত্রীবাহী দুই বাসে আগুন ধরিয়ে উত্তেজিত শ্রমিকরা। শ্রমিকরা সংগঠিত হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবস্থান নিয়েছে। পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের একাধিক দল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। বর্তমানে কোনাবাড়ি কাশিমপুর ও পল্লী বিদ্যুত এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি দৃশ্যমান রয়েছে।
মঙ্গলবার গাজীপুরে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিস।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ‘বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত উত্তেজিত শ্রমিক দুটি বাসে আগুন দিয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে।’
মঙ্গলবার গাজীপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া বাস
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ‘কোনাবাড়িতে আন্দোলন শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে ও দুটি বাসে আগুন দিয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে। শ্রমিকরা যেন কোনো সহিংসতা না করে সে জন্য সড়কে আমাদের পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। বেতনের বিষয়ে মজুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত হবে। আশা করি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’