Home রাজনীতি বগুড়ায় বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ
নভেম্বর ৫, ২০২৩

বগুড়ায় বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ

অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল, পিকেটিং ও সমাবেশ করেছে। এ সময় কয়েকটি ট্রাক ভাঙচুর, পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিষ্ফোরণ ও গুলিতে বিএনপি নেতা আহত হয়েছে।

রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৮টার দিকে বগুড়া শহরতলীর ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের তেলিপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে পুলিশ পাহারায় কিছু যানবাহন পাড় করার সময় পেছন থেকে চার থেকে পাঁচটি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের সামনের গ্লাস ভাঙচুর করে অবরোধ সমর্থকরা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ও টিয়ার শেল ছুঁড়লে অবরোধকারীরা ককটেল নিক্ষেপ করে পাল্টা জবাব দেয়। এ সময় পুলিশ ২০-২৫ রাউন্ড টিয়ারশেল ও গুলি করলে স্থানীয় বিএনপি নেতা মাহবুবর রহমান ওরফে মাহবুব পায়ে গুলিবিদ্ধ এবং রাবার বুলেটে পাঁচ-ছয়জন আহত হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

আরো জানান, সকালে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের ঝোপগাড়ী এলাকায় জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার নেতৃত্বে পিকেটিং ও মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় রেজাউল করিম বাদশা বলেন, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। সরকার মরণকামড় দিয়ে গদি রক্ষায় গুলি ও গণহারে গ্রেফতার করছে। কিন্তু এতে শেষ রক্ষা হবে না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, মনিরুজ্জামান মনি, কে এম খায়রুল বাশার, আব্দুল ওয়াদুদ, ইকবাল হোসেন রাজু, জাহাঙ্গীর আলম, সরকার মুকুল ও শামীম রেজা প্রমুখ।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ‘তেলিপুকুরে অবরোধকারীদের টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়েছে।

জামায়াতের মহাসড়ক অবরোধ

জামায়াত ঘোষিত ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের প্রথম দিন সকালে বগুড়া-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে জামায়াত। সংগঠনের বগুড়া শহর শাখার আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেলের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী সকাল ৬টা থেকে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের নওদাপাড়া এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে।

মিছিল শেষে নেতাকর্মীরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধের সমর্থনে পিকেটিং করছেন। এছাড়া শহরের চারমাথা, তিনমাথা এবং সাবগ্রাম এলাকায় অবরোধের সমর্থনে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করছেন। জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখার আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল বলেন, শেখ হাসিনা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের আগুনে পুড়িয়ে মারার নির্দেশ দিয়ে সহিংসতা উস্কে দিয়েছেন। এখন থেকে কোথাও কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটলে শেখ হাসিনা হুকুমের আসামি হবেন।

তিনি অবিলম্বে জনগণের দাবি মেনে সরকারকে পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জোর দাবি জানান।

এ দিকে সকাল ১১টায় শহরের বনানী ও মাটিডালী এলাকায় শান্তি সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। তারা ঘোষণা দিলেও শহরের চার মাথা, তিন মাথা ও বাঘোপাড়া এলাকায় সকালে দেখা যায়নি। মহাসড়কে যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল নেই। তবে পুলিশ পাহারায় পণ্যবাহী বিভিন্ন যানবাহন সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল করছে।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *