‘গায়ে গরম চা’ ছুঁড়ে মারার অভিযোগ ২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে
জবি প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) সামনের ফুজি গলিতে তিন শিক্ষার্থীকে গালাগালি, মারধর ও গায়ে গরম চা ছুঁড়ে মারার অভিযোগ দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর শাস্তির দাবি জানিয়ে অভিযোগপত্র দিয়েছে নৃবিজ্ঞান ও লোক প্রসাশন বিভাগের তিন শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর অভিযোগপত্র দিয়েছেন ওই তিন শিক্ষার্থী। অভিযোগকারী তিন শিক্ষার্থী হলে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ বর্ষের শুভ কুমার সাহা ও শরিফুল ইসলাম হিমু এবং লোক প্রশাসন বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী এ. ইউ. ফাহিম।
অভিযোগ পত্রে বলা হয়, গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের ফটোকপির গলিতে ফটোকপি করে শুভ কুমার সাহা, শরিফুল ইসলাম হিমু ও এ.ইউ. ফাহিম বের হয়ে আসছিলো। আচমকা প্রচুর হট্টগোলের শব্দ শুনে তারা এগিয়ে যায় এবং হট্টগোলের কারণ জিজ্ঞেস করা হলে চারুকলা বিভাগের ১৫ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী উম্মে তহমিনা জেরীফ মিশু এবং একই ব্যাচের ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের ছোলায়মান খান আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠে। তারা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং এক পর্যায়ে গরম চা সহ কাপ শরীরে ছুঁড়ে মারে। একপর্যায়ে ছোলায়মানের উষ্কানিতে মিশু হিমুর কলার ধরে এবং লাথি মারে। আত্মরক্ষার্থে ও সম্মান রক্ষার্থে ছোলায়মান ও মিশুকে তৎক্ষণাত স্থান ত্যাগ করতে বললে পুনরায় মিশু আক্রমণ করে। তখন ফাহিম এগিয়ে আসলে মিশু ও ছোলায়মান যৌথভাবে ফাহিমের ওপর আক্রমণ করে।
অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয়, গরম চায়ের কাপ শুভ সাহার ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে লাগে এবং কাপটি ভেঙ্গে যায়। এরপর মিশু বলে যে, ‘আমি মিশু, যেখানে ইচ্ছা সেখানে গাঁজা খাব, বিড়ি-মদ সব খাব, তোর কি, তোরা কারা?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে দুইজন সহকারী প্রক্টরকে সদস্য করে। তাদেরকে অতি দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।