ভয়াবহ যুদ্ধের মধ্যেই ইসরায়েলকে নতুন যে হুমকি দিলেন শীর্ষ হামাস নেতা
ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলার পাশাপাশি সেখানে স্থলঅভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে ইসরায়েলের নৃশংস আগ্রাসনে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আট হাজার ৮০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৩,৬০০ জনের বেশি শিশু।
যুদ্ধের এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে নতুন হুঁশিয়ারি দিল হামাস।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতা গাজি হামাদ বলেছেন, ইসরায়েল ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত হামাসের হামলা চলবে।
লেবাননের এলবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের এই নেতা বলেন, “গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা যে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছেন, এটি ‘সবেমাত্র শুরু’। ইসরায়েল ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত একই ধরনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ হামলা একের পর আসতেই থাকবে।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের ভূমিতে ইসরায়েলের কোনো স্থান নেই। আমরা এই অবৈধ রাষ্ট্রকে নিশ্চিহ্ন করে দেব কারণ, এটি নিরাপত্তাগত, সামরিক ও রাজনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি করছে।”
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ঢুকে নজিরবিহীন অভিযান চালায় হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের যোদ্ধারা। ওই অভিযানে সাড়ে তিনশ’র বেশি সেনাসহ দেড় হাজারের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা প্রায় আড়াইশ’ ইসরায়েলিকে বন্দি করে নিয়ে গাজায় ফিরে যান।
গাজি হামাদ ওই ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, “আমরা ইসরায়েলকে একটি শিক্ষা দিয়েছি এবং এই শিক্ষার পুনরাবৃত্তি হতে থাকবে।”
অভিযানে ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি করার কোনো ইচ্ছা হামাসের ছিল না বলে তিনি উল্লেখ করেন। গাজি হামাদ বলেন, “হামাস বেসামরিক নাগরিকদের কোনো ক্ষতি করতে চায়নি। কিন্তু বাস্তবে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তবে যা হয়েছে তার পুরোটাই ছিল ন্যায়সঙ্গত।”
এদিকে, হামাসের এই অভিযানের প্রতিশোধ নিতে ৭ অক্টোবর থেকেই ফিলিস্তিনে নির্বিচারে বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আট হাজার ৮০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৩,৬০০ জনের বেশি শিশু।
ইসরায়েলি সেনারা বর্তমানে গাজায় স্থল অভিযান চালাচ্ছে। ওই অভিযানে তারা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের প্রচণ্ড প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে। মঙ্গলবার একদিনেই অন্তত ১৬ ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে তেল আবিব।
ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা বেশ কিছু ইসরায়েলি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান ধ্বংস করার কথা ঘোষণা করেছে। তবে ইসরায়েল এখনও বুধবারের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ প্রকাশ করেনি। ইসরায়েল নিজের নিহত সেনাদের সংখ্যা কমিয়ে প্রচার করছে বলেও ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দাবি করেছেন।
সূত্র: এলবিসি, ডেইলি মেইল, ফক্সনিউজ, নিউ ইয়র্ক পোস্ট