আদালতে যা বললেন মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় আজ বুধবার বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘আমি ৫০ বছর ধরে রাজনীতি করি। বহু মিছিল করেছি। আন্দোলন করে এরশাদ সরকারের পতন ঘটিয়েছি। এত বছরে এমন কোনো মামলা হয়েছে কি না, তা দেখিনি।’
শুনানি চলাকালে মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মসলেউদ্দিন জসিম আদালতকে বলেন, ‘মির্জা আব্বাসের বয়স ৭০ থেকে ৭৪ বছর। তদন্তকারী কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করেছেন, মির্জা আব্বাসের বয়স ৫৭ বছর।’
এ সময় মির্জা আব্বাস বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘আমার বয়স ৭৪ বছর। তদন্তকারী কর্মকর্তা যেটা লিখেছেন, সেটা ঠিক নয়।’
মির্জা আব্বাসকে আদালতে তোলার সময় স্লোগান দেন নেতাকর্মী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। স্লোগান দেওয়াদের উদ্দেশে বিজয়ের চিহ্ন দেখান তিনি।
এর আগে মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) নূর ইসলাম। অপরদিকে, মির্জা আব্বাসের আইনজীবীরা তার রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিন মির্জা আব্বাসের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল মঙ্গলবার মির্জা আব্বাসকে রাজধানীর শহীদবাগের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। গ্রেপ্তারের পর ডিএমপি ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। সেই পরোয়ানার ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।
তার আগে গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলা ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে নয়াপল্টনে সমাবেশ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ ওরফে আব্বাসের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আসামিরা বেআইনিভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্লোগান দেয়। তারা জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে শাহজাহানপুর থানাধীন এলাকায় বিভিন্ন প্রকার নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে তারা। এসময় আসামিরা অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।