Home সারাদেশ বিদ্যুতের অব্যবস্থাপনায় অকাল মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
Oktober ৩০, ২০২৩

বিদ্যুতের অব্যবস্থাপনায় অকাল মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করা হয় বিজ্ঞানের কোন আবিষ্কারটা সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ ছিল? আপনার ভাবার প্রয়োজন হবে না, না ভেবেই বলে দিতে পারবেন যে তা হলো বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ আবিষ্কারের ফলে বিজ্ঞানের যে এক বিশাল পরিবর্তন দেখা দিয়েছে তা আর অন্য কিছুতে ইতঃপূর্বে সম্ভব হয়নি। বর্তমানে আমরা যত আবিষ্কার দেখতে পারছি তার বেশির ভাগই অবদান রেখেছে বিদ্যুৎ কিন্তু এই বিদ্যুৎ এ বর্তমানে অকাল মৃত্যুর অন্যতম একটা কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত খবরের কাগজে বিদ্যুতের ফলে মৃত্যুর মতো ঘটনা আমরা দেখতে পাই কখনো আমরা দেখতে পাই রাস্তায় বিদ্যুৎ লাইন পানিতে পড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় মৃত্যু কখনো আবার দেখতে পাই বিদুৎের স্পর্শে মৃত্যু ঘটনা। বর্তমানে এইসব ঘটনা মামুলি ব্যাপার হয়েই দাড়িয়েছে কখনোবা আমরা দেখতে পাই স্কুলের ছাদে কিংবা কোনো বাসার ছাদে বৈদ্যুতিক তার এর স্পৃষ্টে মৃত্যুর ঘটনা। গত ১ বছরে বিদ্যুতের সংস্পর্শে প্রায় ১০০ এর অধিক মৃত্যুর ঘটনা আমরা পাই। গ্রাম অঞ্চলে আমরা দেখতে পাই বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপনে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ হিসেবে নিতে এর জন্য দায়ী এর সাথে সম্পৃক্ত লোকরা। বিদ্যুতের লাইন স্থাপনের পরে কোনো নোটিশ ব্যতীত বিদ্যুতের লাইনে বিদ্যুৎ দেওয়ার ফলে মৃত্যুর ঘটনা দেখতে পাই গত ১০ই অক্টোবর জুনায়েদ নামের এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রের মৃত্যু হয় বাসার ছাদে বিদ্যুতের লাইন সে জানত যে বিদ্যুৎ এর খুঁটি নতুন কাজ চলছে লাইনে বিদ্যুৎ নেই হাত দেওয়ায় কোনো সমস্যা হবে না।হাত দেওয়ার সাথে সাথে মৃত্যু কোনো নোটিশ ব্যতীত লাইনে বিদ্যুৎ দেওয়াই হচ্ছে তার মৃত্যুর অন্যতম কারণ এর জন্য আমরা দায়ী করতে পারি বিদ্যুতের সাথে সম্পৃক্ত লোকের অমনোযোগীকে। জুনায়েদের মতো আরো শত শত লোক মৃত্যুবরণ করছে প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের অব্যবস্থাপনার কারণে। এর জন্য প্রয়োজন সচেতনতা সরকারের উচিত আরো বেশি করে জনসচেতনতা তৈরি করা মানুষদের এই বিষয়ে সতর্ক করা। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে সকল মৃত্যুই আমরা দেখতে পাই বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে সম্পৃক্ত আমরা যদি বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো মাটির নিচে দিয়ে নেওয়া যায় তাহলে তা আমাদের সকলের জন্য স্বস্তির কারণ হতো।যদিও ঢাকায় কয়েক জায়গায় বিদ্যুতের লাইন মাটির নীচ দিয়ে নেওয়া হয়েছে কিন্তু তা যেন অতটুকুতেই সীমাবদ্ধ হয়ে দাড়িয়েছে। বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের কয়েক জায়গায় ও আমরা বিদ্যুতের লাইন মাটির নিচে দেখতে পাই এর ফলে আমরা আশেপাশে দেখে যেন মনে হচ্ছে এটা বাংলাদেশ না আমরা আছি অন্য এক উন্নত দেশে একই সাথে বিদ্যুতের ফলে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় শূন্যতে চলে আসছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন এতে কোনো সন্দেহ নেই এর সাথে যদি আমরা বিদ্যুতের লাইনগুলো রাস্তার নিচে দিয়ে নেওয়া হয় তাহলে মৃত্যুর সংখ্যা কমার সাথে সাথে আমরা রাস্তা দিয়ে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবো আমাদের মাঝে বিদুৎের স্পর্শে মৃত্যুর ভয় আসবে না।
আল-আমিন
আরবী বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *