লেবাননে হিজবুল্লাহ প্রধানের সঙ্গে হামাসের শীর্ষ নেতার বৈঠক
লেবাননের আগ্রাসন প্রতিরোধ সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসলামিক জিহাদের দুই শীর্ষ নেতা।
বুধবার হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হাসান নাসরুল্লাহ হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-আরোরি এবং ইসলামিক জিহাদের মহাসচিব জিয়াদ নাখলার সঙ্গে ‘গাজায় ইসরাইলের হামলা ও নিজেদের করণীয়’ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গাজা ও ফিলিস্তিনে জয় পাওয়ার জন্য এরকম স্পর্শকাতর মুহূর্তে প্রতিরোধ বাহিনীর কি করা উচিত সে বিষয়টি ধার্য্য করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের নাগরিকদের ওপর ইসরাইলের নৃসংশ হামলা বন্ধ করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে তাদের এ বৈঠক কোথায় হয়েছে বিবৃতিতে সেটি উল্লেখ করেনি সশস্ত্র এ গোষ্ঠী।
এর আগে হিজবুল্লাহ বলেছে, ইতোমধ্যে তারা গাজা যুদ্ধে জড়িয়ে গেছে এবং বিভিন্ন মহল থেকে চাপ দিলেও এখান থেকে বেরুনোর সুযোগ নেই। বরং দখলদারদের (ইসরাইল) আগে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।
এ ছাড়া গাজা উপত্যকাকে ফিলিস্তিনিরা দখলদার সেনাদের জন্য কবরস্থানে পরিণত করবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান-সমর্থিত সংগঠনটি।
সম্প্রতি এক বিশ্লেষণে জানা গেছে, বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে প্রায় দেড় লাখ রকেট ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এসব অস্ত্র দিয়ে যেকোনো সময় ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলা চালাতে পারে তারা।
ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে নেই, এমন সংগঠনগুলোর মধ্যে হিজবুল্লাহকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্রসজ্জিত বলে বিবেচনা করা হয়। ২০১৮ সালে এ গবেষণা করা হয়।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর কাছে বিপুল পরিমাণ ‘ডাম্ব’ রকেট রয়েছে। পাশাপাশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান-বিধ্বংসী, ট্যাংক-বিধ্বংসী ও জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে তাদের ভান্ডারে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক তথ্যে দেখা গেছে, হিজবুল্লাহর কাছে দেড় লাখ রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। অধিকাংশই কয়েক কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
তবে একাধিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, তাদের কাছে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা লেবানন থেকে কয়েক শ কিলোমিটার দূরে হামলা করতে সক্ষম।