Home প্রবাসীর সুখ-দুখ সৌদি আরবে মৃত্যু, ১৩ দিন পর অবশেষে বাড়ি এলো মোস্তফার মরদেহ
Oktober ২৪, ২০২৩

সৌদি আরবে মৃত্যু, ১৩ দিন পর অবশেষে বাড়ি এলো মোস্তফার মরদেহ

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :
বাবা-মায়ের আর্তচিৎকার,স্ত্রী,সন্তান-স্বজনদের আহাজারি। কখন আসবে মোস্তফা কামালের (৩২) মরদেহ। এই অপেক্ষা যেন শেষ হচ্ছে না। অবশেষে সৌদি আরব প্রবাসী মোস্তফার মরদেহ দেশে এলো ১৩ দিন পর।
আইনি প্রক্রিয়া শেষ করার পর আজ মঙ্গলবার ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় মোস্তাফার মরদেহ। এরপর স্বজনরা তার মরদেহ নিয়ে দুপুরে গ্রামের বাড়ির ফিরেন।
মোস্তফা কামালের বাড়ি নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের ফুলপুর গ্রামে। তার বাবার নাম জয়নাল আবেদীন। মোস্তফার স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রয়েছে।
পরিবার সূত্র জানায়,জীবিকার তাগিদে প্রায় দুই বছর আগে বাংলাদেশ থেকে প্রবাসী হিসেবে সৌদি আরবে পাড়ি দিয়েছিল মোস্তফা। এরই মধ্যে গত (১০ অক্টোবর) মঙ্গলবার সেখানে স্ট্রোকে মৃত্যু হয় । কিন্তু বাড়িতে খবর এসে মৃত্যুর তিনদিন পর (১৩ অক্টোবর) শুক্রবার। পরে সেখানকার আইনি প্রক্রিয়া শেষে (২৪ অক্টোবর) মঙ্গলবার মোস্তফার মরদেহ দেশের মাটিতে পৌঁছায়। এরপর বিকেলে নিজ গ্রামের বাড়ি এলাকার ফুলপুর মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে মৃত্যুর ১৩ দিন পর মোস্তাফার মরদেহ নিজ গ্রামে বাড়িতে পৌঁছলে পুরো গ্রাম জুড়ে মাতম শুরু হয়। একনজর দেখার জন্য অনেক লোকজন ছুটে আসেন তার বাড়িতে। বাবা-মা,স্ত্রী,সন্তান ও স্বজনদের বুকফাটা চিৎকারে বাতাস যেন ভারী হয়ে ওঠে।
প্রবাসী মোস্তফার চাচা মমিন মিয়া বলেন,হঠাৎ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় মোস্তফার। পরে সৌদি আরবের আরেক প্রবাসী আত্মীয়র মাধ্যমে খোঁজ নিলে খবর মিলে ভাতিজা মোস্তফা স্ট্রোক করে মারা গেছে হাসপাতালে। তাও তিন দিন আগে। পরে নানান জটিলতা পেরিয়ে সেখান থেকে আজ তার মরদেহ বাড়ি আনা হয়। পরে বিকেলে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. খোকন মিয়া বলেন,এক বছর আগেও এক ছেলে মারা গেছে। এখন আরেক ছেলেও মারা গেল। বাবা-মায়ের জন্য এই শোক সইতে পারা অনেক কষ্টের। এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মাসুম বিল্লাহ
২৪ অক্টোবর ২০২৩
০১৯১১-১১৮৪৮৬

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *