Home অপরাধ দিনের বেলায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ৪৮ লাখ টাকা ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৭
Oktober ২৩, ২০২৩

দিনের বেলায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ৪৮ লাখ টাকা ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৭

ঢাকা দ্রুতগতির উড়ালসড়কে (ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) র‍্যাব পরিচয়ে ডাকাতির অভিযোগে সাত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার ঢাকা ও পটুয়াখালীতে অভিযান চালিয়ে এই সাত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. সবুজ মিয়া ওরফে শ্যামল (৩৯), মো. সাহারুল ইসলাম ওরফে সাগর (২৩), আবু ইউসুফ (৪১), দিদার ওরফে দিদার মুন্সী (৩৫), মো. ফেরদৌস ওয়াহীদ (৩৫), মো. আলামিন দুয়ারী ওলফে দিপু (৪২) ও মো. দাউদ হোসেন মোল্যা (৩৯)।

ডিবি বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রাইভেট কার, র‍্যাব লেখা জ্যাকেট, হ্যান্ডকাপ, খেলনা পিস্তল, ওয়ারলেস সেট, মুঠোফোন, ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও ডাকাতির টাকায় কেনা ২৩ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে র‍্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় সাত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ রোববার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে ডিবি।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির ডিবির প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ১০ অক্টোবর বিকেলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে র‍্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে।

ঘটনা সম্পর্কে হারুন অর রশীদ বলেন, ১০ অক্টোবর মাদার টেক্সটাইল নামের একটি কোম্পানির দুই কর্মকর্তা অনিমেশ চন্দ্র সাহা ও মো. শাহজাহান মিয়া আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন শাখায় যান। তাঁরা কোম্পানির অ্যাকাউন্ট থেকে ৮৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা তোলেন। ব্যাংকে বসেই তাঁরা পাওনাদার মো. রাজনকে ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেন। বাকি ৪৮ লাখ টাকা নিয়ে তাঁরা কোম্পানির প্রাইভেট কারে করে রওনা দেন। প্রাইভেট কারটি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে খিলক্ষেত প্রাইম ডেন্টাল কলেজ বরাবর এলে পেছন থেকে আরেকটি প্রাইভেট কার এসে গতিরোধ করে। মেরুন রঙের গাড়িটি থেকে র‍্যাব লেখা জ্যাকেটধারী কয়েক ব্যক্তি নামেন। তাঁরা র‍্যাবের পরিচয় দিয়ে বলেন, কোম্পানির লোকদের কাছে অবৈধ অস্ত্র আছে। তাঁরা কোম্পানির কর্মকর্তা অনিমেশ ও শাহজাহানকে ভয় দেখান। তাঁদের হাতে হাতকড়া লাগিয়ে চোখ বেঁধে ফেলেন। পরে তাঁরা কোম্পানির কর্মকর্তা অনিমেশ, শাহজাহান ও চালক আবুল বাশারকে নিয়ে ২৫ মিনিট বিভিন্ন স্থানে ঘোরেন। ৩০০ ফিট সড়কের বোয়ালিয়া ব্রিজের ওপর তাঁদের নামিয়ে দিয়ে তাঁরা টাকা নিয়ে কাঞ্চন ব্রিজের দিকে চলে যান।

হারুন অর রশীদ বলেন, এই ডাকাতির ঘটনায় তাঁরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ১৫ জেলায় ডাকাতির মামলায় আছে। তাঁরা আগেও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরে জামিনে বেরিয়ে আবার ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়ান।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *