মালয়েশিয়া পালানোর আগের রাতেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
বগুড়ার শিবগঞ্জে যৌতুক না পেয়ে ১২ বছর আগে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জিয়াউর রহমান জিয়া (৩৭) ধরা পড়েছেন।
র্যাব জানায়, জিয়াউর রহমান জিয়া বগুড়ার শিবগঞ্জের শোলাগাড়ী গ্রামের তোজাম্মেল হক তোজামের ছেলে। তিনি যৌতুক না পেয়ে ২০১১ সালে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মিনা আকতার লিপিকে (২১) শ্বাসরোধে হত্যা করেন। শ্বশুর লতিফুল বারী শিবগঞ্জে থানায় মামলা করেন। গ্রেফতারের পর তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সব কার্যক্রম শেষে আদালত চলতি বছরের আগস্টে জিয়াকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
এদিকে জিয়া তিন বছর চার মাস জেল খেটে জামিনে ছাড়া পেয়ে ভারতে পালিয়ে যান। সেখানে নাগরিকত্ব নিয়ে রেশন, আধার কার্ড, আই কার্ড ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে থাকেন। পরবর্তীতে তামিল ভাষা ভালো না লাগায় তিনি দুবাই চলে যান। সেখান থেকে ছয় মাস পর দেশে ফিরে গাজীপুরের সূত্রাপুর এলাকায় আবারো বিয়ে করেন। ছদ্মবেশে সংসার করতে থাকেন। ওই এলাকায় কসমেটিক্স ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন গার্মেন্টসে চাকরি করেন। সর্বশেষ দালালের মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আইনকে ফাঁকি দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করেন।
রোববার তার মালয়েশিয়ার ফ্লাইট ছিল। গোপনে খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা শনিবার রাত ১১টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মির্জাপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করেন। রোববার বিকালে তাকে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। থানা পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলহাজতে পাঠিয়েছে।