Home শিক্ষা-ক্যাম্পাস জগন্নাথের বুকে আঠারো এসেছে নেমে 
Oktober ১৯, ২০২৩

জগন্নাথের বুকে আঠারো এসেছে নেমে 

তৌকির আহমেদ, জবি প্রতিনিধি :
আজ (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কী উদযাপন করা হচ্ছে। ২০ অক্টোবর শুক্রবার হওয়ায় এবার একদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা। তার মধ্যে রয়েছে সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় পতাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনা। এরপর ৯ টায় ৪০ মিনিটে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভ উদ্বোধন ।
এরপর সকাল ৯ টায় ৫০ মিনিটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকাল ১০ টায় আনন্দ র‍্যালী জবি ক্যাম্পাস থেকে রায়সাহেব বাজার দিয়ে ভিক্টোরিয়া অতিক্রম করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। র‍্যালী থেকে ফিরে ১০ টা ৪৫ মিনিটে ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় প্রকাশনা উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। এরপর ১১টায় বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় মিলনয়াতনে (নকশী কাঁথার মাঠ) নাটক পরিবেশনা করা হয়। মুজিবমঞ্চে সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী,শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি আবৃত্তি সংসদ ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠির পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
তারপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের (ব্যান্ডদল) অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পাঠশালা হিসেবে যাত্রা শুরু করা এই অনন্য বিদ্যাপীঠ সময়ের পালাবদলে নানা অর্জনে সমৃদ্ধ হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জন করছে ধারাবাহিকভাবে৷ ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়টি পুরোপুরি ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ার আওয়ায় আনার প্রচেষ্টা চলছে।
 বিশ্ববিদ্যালয়ের দিবসের বক্তব্যে উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে মাননীয় উপাচার্য মহোদয় অসুস্থ। আমরা তার জন্য দোয়া করি, তিনি সুস্থ হয়ে দ্রুত আমাদের মাঝে ফিরে আসুন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েকে এগিয়ে নিয়ে গেছে জগন্নাথের শিক্ষার্থী। এছাড়াও একটা বিষয় অর্জন করতে পেরেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়, আগের উপাচার্যেরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়, ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়েকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলকে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা করতে হবে। আমরা আশা করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের অগ্রগতি হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন আয়োজনে অংশগ্রহণ করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব মোল্লা বলেন, ” আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সুনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে গর্বিত। আশা করবো বিগত বছরের ন্যায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় তার সাফল্য এবং সমৃদ্ধি ধরে রাখবে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।”
আরেক শিক্ষার্থী সাফিয়া রহমান বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের এই দিনে আমাদের ভিসি স্যার অসুস্থ। আমরা তার জন্য দোয়া করি। পূর্বের ন্যায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় তার সুনাম অক্ষুন্ন রেখে যেন সামনের দিকে এগিয়ে যাবে সেই প্রত্যাশাই করি।”

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *