Home অপরাধ বরগুনার সাবেক ডিসির সঙ্গে পর-নারীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল
Oktober ১৭, ২০২৩

বরগুনার সাবেক ডিসির সঙ্গে পর-নারীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল

অনলাইন ডেস্ক: বরগুনার সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও নারীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল থেকে ভিডিওটি ম্যাসেঞ্জার, ইমো ও হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়েছে। সন্ধ্যার পর বেশ কয়েকটি ফেসবুক পেইজেও ভিডিওটি আপলোড হলে মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে।

https://fb.watch/nJYPo7XHki/?mibextid=Gd9JSz এই লিংকে ভিডিও রয়েছে

বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর বরগুনায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে যোগ দেন মো. হাবিবুর রহমান। বরগুনায় আড়াই বছর কর্মরত ছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের ৯ জুলাই তাকে সেখান থেকে উপসচিব হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা শাখায় পদায়ন করা হয়। ৩০ জুলাই তিনি নতুন জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে ঢাকায় নতুন কর্মস্থলে যোগ দেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর উপসচিব থেকে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতিও পেয়েছেন বরগুনার সাবেক ডিসি হাবিবুর।

জানা গেছে, ওই নারীর স্বামী ছিলেন একজন পাইলট। তার একটি বিবাহিত মেয়ে রয়েছে। স্বামী মারা যাওয়ার পর ডিসির সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়। ডিসি তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে অসংখ্যবার শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। ঘুরেছেন দুজন বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে। নারী ঢাকার ধানমন্ডিতে নিজের বাসায় বসবাস করলেও সঙ্গীর অভাব ছিল। মেয়ে বিয়ে দেয়ার পর ডিসির সঙ্গে সংসার শুরু করতে চেয়েছিলেন তিনি।

আরও জানা যায়, হাবিবুরের টাকা ও নারীর প্রতি লোভ ছিল বেশি। ঢাকা শহরে ডিসি হাবিবুর রহমানের একাধিক বাড়ি রয়েছে। বরগুনায় থাকাকালে তার এই জেলা থেকে কোটি কোটি টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। যাওয়ার কয়েকদিন আগে নদীবন্দরের জমিতে ব্যবসায়ীদের ৪০টি দোকান ভেঙে দিয়ে দুই মাসের মধ্যে আবার প্রায় ৮ কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে অবৈধভাবে একসনা ডিসিআর দিয়েছেন। অসুস্থতার ভান করে তিনি ৫ জুলাই হেলিকপ্টারে টাকা নিয়ে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার ২৫ জুলাই বরগুনা এসে নবাগত জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে শোনা যায়, দুই দিন পর্যন্ত তোমার এত ফোন আসে। ভালোভাবে তোমার সঙ্গে কথাও বলা যায় না। ডিসির হাতে একটি অপো টাচ ফোন। দ্বিতীয় ভিডিওতে হাসি-তামাশা করে ওই নারীর কপালে চুমু দিতে দেখা যায়। পাশাপাশি লাল কভার বালিশে শুয়ে গল্প করছেন তারা। তৃতীয় ভিডিওটি হালকা অন্ধকারে। সেখানে অন্তরঙ্গ পরিবেশ। আনন্দ-ফুর্তির শব্দ শোনা যায়। অনুমান করা যায়, ওই নারী বরগুনা ডিসির বাংলোতে প্রায়ই রাতযাপন করতেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বরগুনার স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, ভিডিওতে থাকা ওই নারীর পরিচয় এখন পর্যন্ত পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ভিডিওটি ডিসি বাংলোর পূর্বপাশের দোতলার একটি কক্ষের।

ভিডিওর ব্যাপারে বরগুনার সাবেক জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

বরগুনা অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফোরামের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর মৃধা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভিডিওটি প্রথমে বরগুনার ফেসবুক ব্যবহারকারী বিভিন্ন ব্যক্তির ম্যাসেঞ্জারে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সেটি বেশ কিছু পেইজেও আপলোড করা হয়। ভিডিওটি আমি দেখেছি। এতে সাবেক জেলা প্রশাসক ও এক নারী একটি কক্ষে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ও উভয়ের কিছু কথোপকথন রয়েছে।’

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *