মানিকগঞ্জে বিএনপির মিছিলে পুলিশের বাধা, সড়কেই সমাবেশ
সরকার পতনের এক দফা এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে মানিকগঞ্জে জেলা বিএনপির মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে মিছিল বের করলে জেলা শহরের বেউথা মোড় এলাকায় পুলিশ তা আটকে দেয়। পরে সড়কেই সমাবেশ করেন দলীয় নেতা-কর্মীরা।
জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বেলা ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ শহরের শহীদ রফিক সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে এর আগে সকাল থেকে জেলা শহরের বেউথা মোড় এবং সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠসংলগ্ন (বিজয় মেলা) মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ।
সরেজমিন দেখা যায়, আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জেলা শহরের বেউথা সেতুর দক্ষিণ পাশে জেলা বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সমবেত হতে থাকেন। এরপর দুপুর ১২টার দিকে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন কয়েক হাজার নেতা-কর্মী। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান। মিছিলে নেতা-কর্মীরা সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দেন। মিছিলটি সেতুর উত্তর পাশে বেউথা মোড় এলাকায় পৌঁছালে সেখানে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর সেখানে সড়কেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা।
জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম কিবরিয়া সাঈদের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আফরোজা খান। এতে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীর এবং সহসভাপতি আজাদ হোসেন খান।
আফেরোজা খান বলেন, সরকার ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে সাজা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। দীর্ঘদিন কারারুদ্ধ থাকায় খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে তাঁর জীবন বিপন্নের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার। আজ দেশে কোনো নাগরিকের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মৌলিক অধিকার ও আইনের শাসন নেই।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীর বলেন, রাজপথে নেমেছেন হাজারো নেতা-কর্মী। শান্তিপূর্ণ এই গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতেও পুলিশের বাধা। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
মিছিলে বাধা দেওয়ার বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, জনসাধারণের দুর্ভোগ এড়াতে তাঁদের জেলা শহরে মিছিল ও সমাবেশ না করতে অনুরোধ করা হয়। পরে তাঁরা বেউথা মোড় এলাকায় সমাবেশ করেন।