‘ভূতের মতো ঘাড়ে চড়ে বসে আছি, থাকব’ মোশাররফ করিমের উদ্দেশে স্ত্রী জুঁই
স্বামী মোশাররফ করিমের সঙ্গে তোলা ছবিটি ফেসবুকে দিয়ে অভিনেত্রী রোবেনা জুঁই লিখেছেন, ‘১৯ বছর যাবৎ এভাবেই ভূতের মতো ঘাড়ে চড়ে বসে আছি, থাকব। কোনো ওঝাই যেন তোমার ঘাড় থেকে আমাকে নামাতে না পারে।’
৪ বছর চুটিয়ে প্রেমের পর ২০০৪ সালের ৭ অক্টোবর বিয়ে করেন তাঁরা। তখন মোশাররফ করিম অভিনয়ে অল্প-বিস্তর পরিচিতি পেলেও পাদপ্রদীপের আলোয় আসেননি। জুঁই সবে পড়াশোনা শেষ করেছেন। দুজনের পরিবারের কাছে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই বিয়েটা করেছিলেন তাঁরা।
দেখতে দেখতে সংসারজীবনে ১৯টা বছর পূর্ণ করে কুড়িতে পা দিলেন তাঁরা। বিশেষ দিনে সামাজিক মাধ্যমে এই জুটিকে শুভেচ্ছা জানালেন তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, শামীমা তুষ্টি, বিজরী বরকতউল্লাহ, শতাব্দী ওয়াদুদ, রওনক হাসানসহ আরও অনেকে।
মোশাররফ করিম ও জুঁইয়ের বিয়ের গল্পটাও সিনেমার চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়।
গত বছর প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোশাররফ করিম বলেছিলেন, ‘পারিবারিকভাবে বিষয়টা কোন দিকে যায়, সেটাই দেখছিলাম। সময় গেলেও পরে সবাই রাজি হয়েছিল। দুই পরিবার আমাদের সম্পর্ক মেনে নিল। আমরা বিয়ে করলাম। জীবন চলে যাচ্ছে। এসব নিয়ে আমি কখনোই পেছনে তাকাই না। তখনো দারুণ সময় গেছে, এখনো দারুণ সময় যাচ্ছে।’
প্রেমের দিনগুলোও বর্ণিল ছিল। প্রেমিকাকে কী উপহার দিতেন?—এমন প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ করিম বলেন, ‘আমি জুঁইকে কখনোই তেমন কোনো উপহার দিইনি। ওকে গিফট করতাম না। এর কারণ, আমি তেমন গোছানো ছিলাম না। কিন্তু জুঁই আমাকে অনেক উপহার দিয়েছে। তার দেওয়া আংটি আমি এখনো যত্ন করে রেখেছি।’
সিনেমায় পালিয়ে বিয়ে করা দেখলেও বাস্তবে কখনোই পালিয়ে বা মা-বাবাকে কষ্ট দিয়ে কখনোই বিয়ের কথা চিন্তা করেননি রোবেনা জুঁই। অনেক বুঝিয়ে পরিবারের কাছে বিয়ের মত পেয়েছিলেন তাঁরা। জুঁই বলেন, ‘একসময় পরিবারের লোকজন রাজি হলো। তখন দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়লাম। কিন্তু আমাদের দুজনেরই আত্মবিশ্বাস ছিল পরিবারের লোকদের জানালে তারা মেনে নেবেই। এ জন্য আমরা অপেক্ষা করতে রাজি ছিলাম; কিন্তু পরিবারের অমতে, তাদের কষ্ট দিয়ে পালিয়ে বিয়ের কথা ভাবিনি।’
একমাত্র সন্তান রোবেন রায়ান করিমকে নিয়ে তাঁদের সংসার।