Home বিশ্ব বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ। বিশেষ করে ‘টাইগার’ ফ্র্যাঞ্চাইজির সিনেমায় তাদের রসায়ন দর্শকরা বেশ উপভোগ করেছেন। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তি নিয়ে হাজির হচ্ছেন সালমান-ক্যাটরিনা। যশরাজ ফিল্মস প্রযোজিত সিনেমাটি চলতি বছরের দিওয়ালিতে মুক্তি পাবে। এদিকে এ সিনেমার প্রচারের অংশ হিসেবে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যশরাজ ফিল্মস। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় এটি। এ ভিডিওর শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘টাইগার কা মেসেজ’ অর্থাৎ ‘টাইগারের বার্তা’। ভিডিওর শুরুতে দেখা যায়, টাইগার অর্থাৎ সালমান খান জনগণের জন্য বার্তা রেকর্ড করছেন। এ বার্তায় সালমান বলেন, ‘আমার নাম অবিনাশ সিং রাঠোর। আপনাদের জন্য টাইগার হয়েছি। ভারতকে নিরাপদ রাখার জন্য আমি আমার জীবনের ২০টি বছর ব্যয় করেছি। বিনিময়ে কখনো কিছু চাইনি। ‘র’ এজেন্ট টাইগার হাতেনাতে ধরা পড়েছিল। তারা আপনাকে বলবে, টাইগার আপনার শত্রু। টাইগার একজন বিশ্বাসঘাতক।’ ক্লিপটিতে এভাবেই পরিচয় দেয় টাইগার। সালমান যেখানে বসে এই বার্তা দিচ্ছিলেন তখন তার চারপাশে গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। এরপরই টাইগারের আশ্বাস, বেঁচে থাকলে দেখা হবে। একপর্যায়ে বিধ্বস্ত ক্যাটরিনাকেও বুকে টানতে দেখা গেল তাকে। এছাড়াও শোনা যাচ্ছে, এই সিনেমায় একসঙ্গে দেখা মিলবে শাহরুখ-সালমানের। পর্দায় টাইগারের সাহায্য এগিয়ে আসবেন ‘পাঠান’। তাদের সেই অ্যাকশন দৃশ্যের জন্য প্রযোজক আদিত্য চোপড়া নাকি প্রায় ৩৫ কোটি রুপি ব্যয় করেছেন। টাইগার সিরিজের আগের দুই সিনেমা ‘এক থা টাইগার’ এবং ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’-এর মতো নতুন সিনেমাটিতেও সালমানের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে থাকছেন ক্যাটারিনা কাইফ। এটি পরিচালনা করছেন মণীশ শর্মা। যশরাজ ফিল্মস প্রযোজিত সিনেমাটি চলতি বছরের দিওয়ালিতে মুক্তি পাবে।
সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩

বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ। বিশেষ করে ‘টাইগার’ ফ্র্যাঞ্চাইজির সিনেমায় তাদের রসায়ন দর্শকরা বেশ উপভোগ করেছেন। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তি নিয়ে হাজির হচ্ছেন সালমান-ক্যাটরিনা। যশরাজ ফিল্মস প্রযোজিত সিনেমাটি চলতি বছরের দিওয়ালিতে মুক্তি পাবে। এদিকে এ সিনেমার প্রচারের অংশ হিসেবে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যশরাজ ফিল্মস। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় এটি। এ ভিডিওর শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘টাইগার কা মেসেজ’ অর্থাৎ ‘টাইগারের বার্তা’। ভিডিওর শুরুতে দেখা যায়, টাইগার অর্থাৎ সালমান খান জনগণের জন্য বার্তা রেকর্ড করছেন। এ বার্তায় সালমান বলেন, ‘আমার নাম অবিনাশ সিং রাঠোর। আপনাদের জন্য টাইগার হয়েছি। ভারতকে নিরাপদ রাখার জন্য আমি আমার জীবনের ২০টি বছর ব্যয় করেছি। বিনিময়ে কখনো কিছু চাইনি। ‘র’ এজেন্ট টাইগার হাতেনাতে ধরা পড়েছিল। তারা আপনাকে বলবে, টাইগার আপনার শত্রু। টাইগার একজন বিশ্বাসঘাতক।’ ক্লিপটিতে এভাবেই পরিচয় দেয় টাইগার। সালমান যেখানে বসে এই বার্তা দিচ্ছিলেন তখন তার চারপাশে গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। এরপরই টাইগারের আশ্বাস, বেঁচে থাকলে দেখা হবে। একপর্যায়ে বিধ্বস্ত ক্যাটরিনাকেও বুকে টানতে দেখা গেল তাকে। এছাড়াও শোনা যাচ্ছে, এই সিনেমায় একসঙ্গে দেখা মিলবে শাহরুখ-সালমানের। পর্দায় টাইগারের সাহায্য এগিয়ে আসবেন ‘পাঠান’। তাদের সেই অ্যাকশন দৃশ্যের জন্য প্রযোজক আদিত্য চোপড়া নাকি প্রায় ৩৫ কোটি রুপি ব্যয় করেছেন। টাইগার সিরিজের আগের দুই সিনেমা ‘এক থা টাইগার’ এবং ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’-এর মতো নতুন সিনেমাটিতেও সালমানের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে থাকছেন ক্যাটারিনা কাইফ। এটি পরিচালনা করছেন মণীশ শর্মা। যশরাজ ফিল্মস প্রযোজিত সিনেমাটি চলতি বছরের দিওয়ালিতে মুক্তি পাবে।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উন সম্প্রতি রাশিয়া সফর করে গেলেন। তখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছিল। বৈঠকের অংশ হিসেবে যখন কিম অতিথিদের জন্য রাখা বইয়ে সই করছিলেন, তখন কিমের কাঁধের ওপর দিয়ে ঝুঁকে সেই শুভেচ্ছাবার্তা পড়ছিলেন এক তরুণী।

কিমকে ঘিরে অনেক পুরুষ কর্মী যেখানে সতর্কভাবে দাঁড়িয়ে আছেন, সেখানে এই তরুণীর এমন স্বতঃস্ফূর্ত আচরণ সবার নজর কাড়ে। এই তরুণী আর কেউ নন, তিনি কিমের ছোট বোন ও দেশটির গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক উপদেষ্টাদের একজন কিম ইয়ো জং।

২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নজর কেড়েছিলেন কিম ইয়ো জং। কোরিয়া যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি দক্ষিণে পা রেখেছিলেন। কিম সরকারের এখন গুরুত্বপূর্ণ মুখপাত্র তিনি।

দ্য উড্রো উইলসন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্কলারসের ফেলো সুং–ইয়োন লি ‘দ্য সিস্টার’ নামে কিম ইয়ো জংকে নিয়ে বই লিখেছেন। সেখানে জংকে তিনি দেশের হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে দেশের ‘প্রধান সমালোচক, মুখপাত্র, ব্যঙ্গ–বিদ্রুপ ও হুমকি এবং বিদ্বেষপ্রসূত বক্তব্যদাতা’ বলে উল্লেখ করেছেন। এই বই নিয়ে লেখকের সাক্ষাৎকার নিয়েছে সিএনএন

সিএনএন: কিম বংশের এত সদস্য থাকার পরও আপনি কেন কিম ইয়ো জংকে বেছে নিলেন?

সুং–ইয়োন লি: ৭৫ বছর ধরে কিম পরিবার উত্তর কোরিয়া শাসন করেছে। উত্তর কোরিয়ার নৃশংস, পুরুষতান্ত্রিক রাজনৈতিক ভূখণ্ডে কিম ইয়ো জং প্রথম বিশেষ ও ক্ষমতাধর নারী ব্যক্তিত্ব।

২০২০ সাল থেকে কিম জং–উনের পর তিনি অলিখিতভাবে এই রাজবংশ শাসন করে যাচ্ছেন।

কিম ইয়ো জং তরুণ, দেখতে সুদর্শনা, আধুনিক, স্পষ্টভাষী, গালাগাল, হুমকি দেওয়াসহ বেশ ক্ষমতা দেখান। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে পারমাণবিক হামলা চালানোর হুমকি দিতে অভ্যস্ত। আজ নির্দ্বিধায় উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নারী তিনি।

২০১৩ সালের শীতে কিম ও তাঁর সহোদরেরা তাঁদের চাচা এবং একসময়ের ক্ষমতাবান ব্যক্তিত্ব জাং সং-থায়েককে প্রকাশ্যে অপমান করেন, পরে হত্যা করেন। এ থেকে বোঝা যায়, শাসনকাজে তাঁরা কতটা নির্মম হতে পারেন। বিশ্বে এক অদ্ভূত রাজবংশ এটি।

ভাই কিম জং–উনের সঙ্গে কিম ইয়ো জং
ভাই কিম জং–উনের সঙ্গে কিম ইয়ো জংফাইল ছবি: রয়টার্স

সিএনএন: কিম ইয়ো জংয়ের শৈশব সম্পর্কে কী জানেন? তাঁর ভাইয়ের সঙ্গেই–বা তাঁর সম্পর্ক কেমন?

সুং-ইয়োন লি: কিম ইয়ো জংয়ের বাবা ছিলেন সাবেক সর্বোচ্চ নেতা কিম জং ইল। তাঁর সাত ছেলেমেয়ের মধ্যে কিম ইয়ো জং ছিলেন সবার ছোট। বাবা–মায়ের আদরের দুলালি ছিলেন তিনি। তাঁরা আদর করে ডাকতেন, ‘মিষ্টি রাজকন্যা’। রাজপরিবারের সাবেক এক পাচক জানিয়েছেন, খাবার টেবিলে বাবার পাশের আসনটি ছিল কিম ইয়ো জংয়ের জন্য বরাদ্দ।

কিম ইয়ো জংয়ের বয়স যখন ৯ বছর, তখন থেকে চার বছর তিনি দুই ভাইয়ের (কিম জং–উন ও কিম জং চোল) সঙ্গে সুইজারল্যান্ডে কাটিয়েছেন। তখনই কিম জং–উনের সঙ্গে তাঁর বন্ধন বেশ ঘনিষ্ঠ হয়।

উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখবেন, ভাই–বোন দুজনে যখন কথা বলেন, একে অন্যের দিকে হাসিমুখে তাকান। এতেই আসলে তাঁদের ভেতরকার সম্পর্কটা বোঝা যায়। এমনকি ভাইয়ের দাপ্তরিক কাজের ক্ষেত্রেও তাঁকে ভাইয়ের কাছাকাছি থাকতে দেখা যায়। তাঁর চালচলন অন্যদের থেকে অনেকটা আলাদা। সবকিছু মিলিয়ে তিনি যে ক্ষমতাশালীদের মধ্যে বিশেষ অবস্থান নিয়ে আছেন, তাতে সন্দেহ নেই।

সিএনএন: কিম রাজবংশের শুরুটা হলো কীভাবে?

সুং-ইয়োন লি: কিম রাজবংশের নিজস্ব ইতিহাসে বলা আছে। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা ও কিম জং–উনদের দাদু কিম ইল সুং কার্যত এককভাবে ১৯৪৫ সালে জাপানের ঔপনিবেশিক শাসনের হাত থেকে কোরিয়াকে স্বাধীন করেন। কিন্তু কীভাবে? চীন ও উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে মাউন্ট পায়েকতুর থেকে তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধ পরিচালনা করেন। কোরিয়ার পৌরাণিকে উল্লেখ আছে, এটি জাতিগত কোরীয়দের জন্মস্থান।

ব্যাপকভাবে প্রচার আছে যে কিম ইল সুং সোভিয়েত সেনাবাহিনীতে একজন কনিষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জাপান আত্মসমর্পণ করলে কিম ইল সুংকে রাশিয়ার স্টালিন কমিউনিস্ট উত্তরের নেতা নিয়োগ দেন। উত্তর কোরিয়া কিম রাজবংশের বৈধতার পেছনে বহুল প্রচলিত এই ইতিহাসকে রাজনৈতিকভাবে বেশ কাজে লাগায় কিম পরিবার। একটি কাল্পনিক আখ্যানও তৈরি করেছে তারা। সেটি হচ্ছে, কিম ইল সুং ছিলেন উত্তর কোরিয়ার ত্রাণকর্তা। তাঁর বংশধরদের মধ্যেও সেই অলৌকিক ক্ষমতা রয়েছে।

সিএনএন: ২০১৮ সালে কিম ইয়ো জং দক্ষিণ কোরিয়ার শীতকালীন অলিম্পিকে শান্তির বার্তা নিয়ে গিয়েছিলেন। এর পর থেকে তাঁর আচরণ কীভাবে পাল্টে গেল?

সুং-ইয়োন লি: দক্ষিণ কোরিয়ায় শীতকালীন অলিম্পিকে তাঁর ব্যক্তিত্ব সবাইকে মুগ্ধ করেছিল। রাজকুমারীর হাবভাব থাকলেও ঔদ্ধত্য আচরণ ছিল না।…কিন্তু এখন সেই আচরণ অনেকটাই পাল্টে গেছে।

কিম ইয়ো দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট দপ্তরকে ভিতু কুকুরের চিৎকার বা যুক্তরাষ্ট্রের পোষা তোতাপাখি বলে অভিহিত করেছেন। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে  মানসিক ভারসাম্যহীন বুড়ো বলে মন্তব্য করেছেন।

সিএনএন: তিনি যে ক্ষমতাধর এমন কি কোনো উদাহরণ আছে?

সুং-ইয়োন লি: ২০২০ সালের জুনে কিম ইয়ো জং এক লিখিত বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সীমান্তের এপারে অর্থাৎ উত্তর কোরিয়ায় লিফলেট, অর্থ, ওষুধ, টুথপেস্ট ইত্যাদি পাঠানোকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে একটি নতুন আইন পাস করার আহ্বান জানান। (দশকের পর দশক ধরে ভিন্নমতালম্বী ও মানবাধিকারকর্মীরা বেলুনের মাধ্যমে দক্ষিণ থেকে উত্তরে এ ধরনের জিনিসপত্র পাঠিয়ে আসছেন)।

কিম ইয়ো জংয়ের এই আহ্বানের কয়েক ঘণ্টা পরই দক্ষিণ কোরিয়া ইতিবাচক সাড়া দিয়েছিল। ওই বছরের ডিসেম্বর নতুন আইন পাস করেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। তবে এ জন্য দেশের নাগরিক সংগঠনগুলো, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ব্যাপক সমালোচনা মুখে পড়তে হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়াকে।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য লর্ড ডেভিড অ্যালটন দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন আইনকে ‘গ্যাগ ল’ (ব্যক্তিস্বাধীনতাকে গলা টিপে ধরার শামিল) বলে উল্লেখ করেন। যদিও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসন পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠাতা ভিত্তিতে এটি পাস করে নেয়। উত্তর কোরিয়ার জন্য এটি ছিল প্রথম সফল ঘটনা, যা তারা সীমান্তের বাইরে নিজেদের আধিপত্য দেখাতে পেরেছিল। যা কিমের দাদা, বাবা, ভাই—কেউ করতে পারেননি।

সেই জুন মাসেই কিম ইয়ো জং দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থায়নে নির্মিত দুই কোরিয়ার সীমান্তে অবস্থিত উত্তর–দক্ষিণ কোরিয়ার লিয়াজোঁ অফিস উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। সত্যি সত্যি কয়েক দিন পর এটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। এটি নিয়ে আমার বইয়ে বিস্তারিত লিখেছি।

সিএনএন: এই পরিবার সম্পর্কে তথ্য পাওয়া খুব কঠিন। আপনি কীভাবে এসব তথ্য ব্যবহার করলেন?

সুং-ইয়োন লি: আমি উত্তর কোরিয়া নিয়ে ২০ বছর পড়েছি ও পড়িয়েছি। কোরীয়, চায়নিজ ও ইংরেজি ভাষায় কিম ইয়ো জং ও তাঁর পরিবার নিয়ে যত লেখা ছাপা হয়েছে, আমি সব পড়েছি। উত্তর কোরিয়ার ফুটেজ আমি শত শত ঘণ্টা দেখেছি। একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়া নিয়ে প্রকাশিত হাজারো নিবন্ধ ও বিবৃতি পড়েছি।

কিম ইয়ো জংয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে, এমন অনেক মানুষ এবং সাবেক অনেক কর্মকর্তা যাঁরা উত্তর কোরিয়া ছেড়ে গেছেন, তাঁদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি।

সিএনএন: কিম ইয়ো জংয়ের ভবিষ্যৎ কী হতে পারে? তাঁর ভাইয়ের পর কি ক্ষমতা অনিবার্যভাবে পরবর্তী প্রজন্মের হাতে যাবে?

সুং-ইয়োন লি: নিয়ম অনুসারে, কিম জং–উনের ক্ষমতা তাঁর ভাইবোনের পরিবর্তে তাঁর সন্তানদের একজনের কাছে যাওয়ার কথা। কিন্তু কিম ইয়ো জং হলে তা হবে এক নতুন ঘটনা। তাহলে তাঁর ভবিষ্যৎ কী হতে পারে? তিনি কি কখনো শীর্ষ নেতৃত্ব গ্রহণ করতে পারেন? এটা এমন একটি প্রশ্ন যার সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর নেই। আবার এটি কোনো অযৌক্তিক প্রশ্নও নয়।

অতীতের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যাবে, ২০১৩ সালের শীতে কিম ও তাঁর সহোদরেরা তাঁদের চাচা এবং একসময়ের ক্ষমতাবান ব্যক্তিত্ব জাং সং-থায়েককে প্রকাশ্যে অপমান করেন, পরে হত্যা করেন। এ থেকে বোঝা যায়, শাসনকাজে তাঁরা কতটা নির্মম হতে পারে। বিশ্বে এক অদ্ভূত রাজবংশ এটি।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *