নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, ভয় দেখায় মির্জা ফখরুল: ওবায়দুল কাদের
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগ নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভয় দেখাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র আর ভয় দেখায় মির্জা ফখরুল। আশ্চর্য, নিষেধাজ্ঞার ভয় আমাদের দেখায় ফখরুল! আমেরিকা কি ভয় দেখানোর এজেন্সি দিয়েছে ফখরুলকে?’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা পুরাতন বাসরোড এলাকায় আয়োজিত ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আমরা রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি। একাত্তরেও আমাদের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থামানো যায়নি। এবারও যাবে না। আমরা নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করি না। আমরা পরোয়া করি সংবিধানকে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্ করে ওায়দুল কাদের বলেন, ‘কিছুদিন ধরে লক্ষ করে আসছি, বক্তৃতা করতে দাঁড়ালেই মির্জা ফখরুলের চোখে কেবল কান্না। কান্নায় কান্নায় বুক ভেসে যায়৷ কত মানুষকে কাঁদিয়েছেন আপনারা, সন্তানহারা মা, স্বামীহারা বধূ, ভাইহারা বোনের কান্না; আর এখন নিজেরা কাঁদেন৷ ফখরুল সাহেব, কানতে কানতে কান্নার দরিয়া হবে, তবু আপনাদের ক্ষমা নেই। বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, আরও অনেক মানুষ খুন করেছেন। আবার খুনিদের ক্ষমা করেছেন, তাই আপনাদের ক্ষমা নেই। দেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমা করবে না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগকে পতনের জন্য বিএনপি ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে অথচ খালেদা জিয়াকে মুক্তির জন্য তারা ৪৮ মিনিটও আন্দোলন চালাতে পারেনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার মহানুভবতায় তিনি (খালেদা জিয়া) বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারছেন। তাঁর অসুস্থতার জন্য বিএনপি যত কথা বলেছে, তাঁর মুক্তির জন্য বিএনপি এত কথা বলেনি। বিএনপি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়েও রাজনীতি করছে।
বিএনপিকে হুঁশিয়ার করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কারও গায়ে আঘাত করা হলে পাল্টা আঘাত করা হবে। কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া দেওয়া হবে না। এই দেশ আমাদের। এই দেশ যত দিন আছে, আমরা লড়ে যাব। কারও কাছে মাথা নত করব না। ঢাকা শহর দখল করবে, আমরা প্রস্তুত আছি, দেখি কারা দখল করবে। শুধু ঢাকা না, সারা দেশ লাল–সবুজের পতাকায় ছেয়ে যাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘খেলা হবে, এটাই খেলার আসল মাঠ। কেরানীগঞ্জের মানুষ সংগ্রামী মানুষ। ক্যাপ্টেন আসতেছেন, তিনি আমেরিকা আছেন। আমেরিকায় জাতিসংঘে গেছেন। দেশে এসে নির্দেশনা দেবেন।’
আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভোটের জন্য তৈরি হয়ে যান। বারবার আসতে পারব না, ভোট সম্ভবত জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। আপনার মানুষের ঘরে ঘরে যাবেন, শেখ হাসিনার কথা বলবেন। তিনি যেমন সব জায়গায় মানুষের কথা বলেন। মানুষের জন্য কাজ করেন।’