Home সারাদেশ বর্ণিল আয়োজনে বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস উদযাপন করলো জবি ফার্মেসি বিভাগ 
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩

বর্ণিল আয়োজনে বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস উদযাপন করলো জবি ফার্মেসি বিভাগ 

তৌকির আহমেদ, জবি প্রতিনিধি: সারা বিশ্বে আজ (সোমবার) পালিত হচ্ছে বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস ২০২৩। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে ফার্মাসিস্টদের অবদান এবং জনসচেতনতা তৈরি করতে দিবসটি পালন করেছে ফার্মেসি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এদিন সকালে পোস্টার প্রদর্শনী, কুইজ প্রতিযোগিতা ও র‍্যালির মাধ্যমে উদ্বোধন করেন আর্থ এন্ড লাইফ সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান খন্দকার।
 ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোসাররফ হুসাইন সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ অ্যান্ড আর্থ সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান খন্দকার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল, ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর ডিজিএম শওকত হোসেন,জেনারেল ম্যানেজার সাফায়াত মাহমুদ, এসিআই লিমিটেড এর পরিচালক মোহাম্মদ মুহসিন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সায়েদুর রহমান। পরবর্তীতে অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্য রাখেন। এতে লাইফ অ্যান্ড আর্থ সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান খন্দকার বলেন, আমাদের যে মৌলিক চাহিদা স্বাস্থ্য, এই মৌলিক চাহিদা নিয়েই ফার্মেসি বিভাগ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। আমি প্রত্যাশা করি, আমাদের যে ক্রমবর্ধমান ঔষধশিল্প এবং জনস্বাস্থ্য সেখানে নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণে এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে যেসব জায়গায় গ্যাপ আছে সেখানে নিজেদের স্ব উদ্যোগে সম্পৃক্ত করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, জবি ফার্মেসি বিভাগের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, সমস্যা আছে এগুলোকে সাথে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবনের নানা সীমাবদ্ধতা দূর করতে পারে আজকের তরুণ ফার্মাসিস্টরা। এজন্য নিজেদের যোগ্যতা দিয়ে নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।
ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর জেনারেল ম্যানেজার সাফায়াত মাহমুদ বলেন,ফার্মেসি অনেক প্রাচীন একটা প্রফেশন। ফার্মেসিকে বাদ রেখে স্বাস্থখাত কল্পনা করা যায়না। ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা বিবেচনায় কোয়ালিটি ফার্মাসিস্ট দরকার আর মেধা না থাকলে যোগ্য ফার্মাসিস্ট হওয়া যায়না এজন্য নিজেদেরকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকতে হবে। আমি প্রত্যাশা করি মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের জন্য ফার্মাসিস্টরা অবদান রাখবে।
বক্তারা স্বাস্থ্যসেবায় বর্তমান বিশ্বে ফার্মেসি পেশার গুরুত্বপূর্ণ অবদান নিয়ে আলোচনা করেন এবং জনসচেতনতা তৈরি করতে উৎসাহ দেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয় দিনটি।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *