আবারও বন্ধ রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র
যান্ত্রিক ত্র“টির কারনে আবারও বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত প্রায় সাড়ে ৯টা থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এই নিয়ে ৯ মাসে ৮ বার বন্ধ হল রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক কর্মকর্তা বলেন, এবার কয়লা সংকট নয়, যান্ত্রিক ত্র“টির কারনে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
এবিষয়ে জানতে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজীমকে একাধিবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে বাগেরহাটের রামপালে ৯১৫ একর জমিতে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লানির্ভর কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়। কাগজপত্রে এর নাম মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট। কয়লানির্ভর এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে দু’টি ইউনিট আছে, যার প্রতিটি ৬৬০ মেগাওয়াটের। এর মধ্যে একটি ইউনিটে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয় গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর। এই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জ্বালানি পুরোপুরি আমদানি নির্ভর। এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা আসে ইন্দোনেশিয়া থেকে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালুর এক মাস না যেতেই চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি প্রথম দফায় কয়লার অভাবে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। কয়লার অভাবে গত ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় উৎপাদন বন্ধ ছিল এই বিদ্যুৎকেন্দ্র। গত ১৬ জুলাই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র কারিগরি সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর ২১ জুলাই বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়। ২৯ জুলাই রাতে কয়লার অভাবে তৃতীয় দফায় কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। গত ৩০ জুন রাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে ইলেকট্রিক্যাল জেনারেটর ইউনিট প্রোটেকশনে ত্র“টি দেখা দেওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ ছিল। এ সময় ১০ দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ ছিল। ত্র“টি সারিয়ে ১০ জুলাই উৎপাদনে আসার চার দিনের মাথায় ১৩ জুলাই রাতে কারিগরি সমস্যার কারণে আবারও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।