Home রাজনীতি ডিএসএ মামলা বাতিলের সুযোগ নেই: সংসদে আইনমন্ত্রী
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩

ডিএসএ মামলা বাতিলের সুযোগ নেই: সংসদে আইনমন্ত্রী

সদ্য বাতিল হওয়া বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) দায়ের করা মামলা বাতিলের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ওই আইনে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।

বৃহস্পতিবার সংসদের বৈঠকে গণফোরাম সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা জানান। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

বুধবার ডিএসএ বাতিল করে সাইবার নিরাপত্তা আইন পাস হয় জাতীয় সংসদে। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পরে গেজেট আকারে প্রকাশ হলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে। নতুন সাইবার আইনে বলা হয়েছে, ডিএসএতে মামলাগুলো চলমান থাকবে।

গণফোরামের মোকাব্বির খান আইনমন্ত্রীর কাছে জানতে চান বাতিল হওয়া ডিএসএ অপপ্রয়োগে যারা বিভিন্ন ধরনের হয়রানি, জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন, এখনও অনেকেই কারাগারে আছেন। তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কিনা?

একই সঙ্গে বিষয়গুলো কীভাবে নিষ্পত্তি করা হবে তাও জানতে চান গণফোরামের এই সংসদ সদস্য।

জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীন দায়ের করা মামলা বাতিলের সুযোগ নেই এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।

আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে আনিসুল হক বলেন, আইনের অবস্থান হলো যেসব অপরাধ পুরোনো আইনে করা হয়েছে, সেই পুরোনো আইনে যে শাস্তি, সেই শান্তি অপরাধীকে আদালত দেবেন। সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণ সংক্রান্ত যে বিধান রয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে- অপরাধের দায়যুক্ত কার্যসংঘটনকালে বলবৎ ছিল, এইরূপ আইন ভঙ্গ করিবার অপরাধ ব্যতীত কোনো ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে না এবং অপরাধ- সংঘটনকালে বলবৎ সেই আইনবলে যে দণ্ড দেওয়া যাইতে পারত, তাহাকে তাহার অধিক বা তাহা হইতে ভিন্ন দণ্ড দেওয়া যাইবে না।’

ডিএসএ বাতিল করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করার বিষয়টি উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইনে রহিতকরণ ও হেফাজত সংক্রান্ত বিধান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীন দায়েরকৃত অভিযোগ ও তদসংক্রান্ত অন্যান্য কার্যক্রম বা সূচিত কোনো কার্যধারা বা দায়েরকৃত কোনো মামলা বা আপিল যেকোনো পর্যায়ে অনিষ্পন্ন থাকলে উক্ত কার্যধারা বা আপিল এমনভাবে চলমান থাকবে যেন তা সাইবার নিরাপত্তা আইনের অধীন সূচিত বা দায়েরকৃত।’

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *