বাসায় শাশুড়ির থাকা নিয়ে অসন্তোষ, বালিশ চাপা দিয়ে ‘হত্যা’
পঞ্চাশোর্ধ্ব রুমা আক্তার। স্বামী মারা গেছেন। পরিবারে চলছে আর্থিক টানাপোড়েন। তাই দুই মাস আগে ওঠেন মেয়ের বাসায়। কিন্তু বাসায় শাশুড়ির থাকা মেনে নিতে পারছিলেন না জামাতা মো. আজিম। এ নিয়ে জামাতা ও শাশুড়ির মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরে গত রোববার চট্টগ্রাম নগরের কলসি দিঘির পাড়ের বাসায় বালিশ চাপা দিয়ে শাশুড়ি রুমা আক্তারকে হত্যা করেন তিনি।
সোমবার নগরের ডবলমুরিং থানার সুপারিওয়ালা পাড়া থেকে মো. আজিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শাশুড়িকে শ্বাসরোধে হত্যার দায় স্বীকার করে সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা প্রথম আলোকে বলেন, দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আজিম। তিনি বলেছেন, দুই মাস ধরে তাঁর শাশুড়ি রুমা তাঁদের বাসায়। এ নিয়ে স্ত্রী পারভীনসহ অনেকের সঙ্গে অশান্তি দেখা দেয়। এ ক্ষোভ থেকেই তিনি শাশুড়িকে হত্যার এমন পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী শ্বাসরোধে হত্যা করেন তাঁকে।
ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা আরও বলেন, শাশুড়িকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আজিম দিনমজুর। তাঁর স্ত্রী পারভীন কাজ করেন এক পোশাক কারখানায়। ঘটনার সময় তিনি বাসায় ছিলেন না। এ সুযোগে রুমাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন আজিম। এরপর পালিয়ে যান তিনি।
এ ঘটনায় রুমা আক্তারের ছেলে মো. জুয়েল বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা করেছেন। মো. জুয়েল প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের আর্থিক অবস্থা খারাপ। এ কারণে তাঁর মা রুমা আক্তার বোনের বাসায় থাকতেন। এটা মেনে নিতে পারেননি তাঁর ভগ্নিপতি। হত্যার বিচার চান তিনি।