Home বানিজ্য দুই কারণে এ বছরও ডলারের তেজ বজায় থাকবে, জানাচ্ছে রয়টার্সের জরিপ
সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩

দুই কারণে এ বছরও ডলারের তেজ বজায় থাকবে, জানাচ্ছে রয়টার্সের জরিপ

চলতি বছর বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মুদ্রার মধ্যে ডলার শক্তিশালী থাকবে;  বার্তা সংস্থা রয়টার্স বিদেশি মুদ্রা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সম্প্রতি যে জরিপ করেছে, তাতে জানা গেছে, চলতি বছর ডলারের শক্তি কমবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এখনো শক্তিশালী, নীতি সুদহার বৃদ্ধির কারণে ট্রেজারি বন্ডের সুদহারও বাড়তি, এমনকি উন্নত দেশগুলোর মধ্যে যা সর্বোচ্চ। এ কারণে নানা ঘাত–প্রতিঘাত সত্ত্বেও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাগুলোর মধ্যে ডলার এখনো শক্তিশালী।

এ বছরের মাঝামাঝি সময় মার্কিন ডলারের কিছুটা দরপতন হলেও সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দর বেড়েছে। জুনে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দর ২০২০ সালের পর সবচেয়ে নিচে নেমে যায়। এরপর ডলারের দর বেড়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডলারের দর বেড়েছে ১ শতাংশ।

মূলত দুটি কারণে ডলারের দর বাড়ছে। প্রথমত, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের অবস্থা ভালো নয়, দেশটির প্রবৃদ্ধির হার কেবল কমছেই। এতে বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে ডলারে বিনিয়োগ করছেন।

দ্বিতীয়ত, মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ গত বছর থেকে নীতি সুদহার বৃদ্ধি শুরু করে। মূল্যস্ফীতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও শিগগিরই তারা যে নীতি সুদহার কমাবে, তেমন লক্ষণ নেই। নীতি সুদহার বৃদ্ধির কারণে বন্ডের সুদহারও বেড়েছে। ফলে ডলার বিনিয়োগকারীদের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।

রয়টার্সের জরিপে অংশ নেওয়া সিংহভাগ বিশ্লেষক মনে করছেন, ডলারের দর বরং আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে, কমার নয়। ৮১ শতাংশ বিশ্লেষক বা ৫৩ জনের মধ্যে ৪৩ জনই বলেছেন, ডলারের দর বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

রাবো ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রাবিষয়ক বিশ্লেষক জেইন ফোলি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা মনে করি, ডলারের দর আরও বাড়বে এবং আগামী তিন মাস এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’
আবার অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, আগামী ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভ নীতি সুদহার কমাতে শুরু করবে এবং তখন ডলারের বিনিময় হার আবার কমবে।

জরিপে অংশ নেওয়া বিশ্লেষকদের ভবিষ্যদ্বাণী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ইউরোর দর বেড়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ। পূর্বাভাস হলো, আগামী তিন মাসে ডলারের বিপরীতে ইউরোর দর ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশে উঠবে।

যদিও আগের পূর্বাভাস অনুযায়ী ইউরোর দর আগামী ছয় মাসে ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১ দশমিক ১০ ডলার এবং আগামী এক বছরে তা ১ দশমিক ১২ ডলারে উঠবে।

এদিকে জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দাম চলতি বছর ইতিমধ্যে ২ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ডলারের বিপরীতে ১৪৭ ইয়েনে নেমেছে। তবে আগামী এক বছরে ইয়েনের দর বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ডলারে বিপরীতে জাপানি মুদ্রার দাম ১৩২ ইয়েনে উঠে আসতে পারে।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *